আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহুদিনের বিরোধিতার পর অবশেষে জাতিগত জনগণনার পথে হাঁটতে বাধ্য হল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার। দীর্ঘ চার বছর বিলম্বিত এই জনগণনায় এবার জাতপাতের তথ্য সংগ্রহের কথা ঘোষণা করেছে সরকার। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই হঠাৎ ‘ইউ-টার্ন’-এর পেছনে কি রয়েছে কংগ্রেসের চাপ এবং রাহুল গান্ধীর “জনসংখ্যা অনুযায়ী অধিকার” আন্দোলনের সাফল্য?
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণিরা’ আজ গণহিসাবের মাধ্যমে নিজেদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছেন। অপরদিকে, বিজেপি ও তার মাতৃসংগঠন আরএসএস-এর অতীত রেকর্ড পিছিয়ে থাকা জাতিগুলির প্রতি বরাবরই বিতর্কিত। মণ্ডল রাজনীতির বিরোধিতা থেকে শুরু করে সংরক্ষণের প্রশ্নে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, সবটাই নথিভুক্ত ইতিহাস।
বিহার সরকারের সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিগত সমীক্ষা বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে, কারণ তাতে দেখা গিয়েছে উচ্চবর্ণের অতিরিক্ত প্রতিনিধিত্ব—যা বিজেপির মূল ভোটব্যাংক। তাই কেন্দ্রীয় জনগণনাতেও তথ্য বিকৃতি, গোষ্ঠীভিত্তিক বিভাজন এবং ওবিসি প্রতিনিধিত্ব খর্ব করার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, জনগণনা ঠিক না থাকলে তা হবে সামাজিক ন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত আঘাত। সঠিক জনগণনা ছাড়া পিছিয়ে পড়া শ্রেণিরা বঞ্চিত হবে শিক্ষা, চাকরি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় অংশগ্রহণ থেকে। একজন বিশ্লেষকের কথায়, “একলব্যের বুড়ো আঙুল চাইবার রাজনীতি আজও চলছে—শুধু অভিনয়টা একটু পাল্টেছে।”
জনগণনা হবে, ঠিকই। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—এই সরকারকে কি বিশ্বাস করা যায়? ইতিহাস বলছে, উত্তরটা 'না'।
