আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে চোখের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষ করে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, গ্লুকোমা, ছানি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো সমস্যাও বাড়ছে। সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এই রোগগুলি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রেই চোখের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায় না, যার ফলে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে চোখের উপর চাপ বাড়ছে, যা চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ছানি, গ্লুকোমা এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর মতো রোগগুলি বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিস চোখের রোগের অন্যতম কারণ, যা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির দিকে পরিচালিত করে। পরিবেশ দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কনজাংটিভাইটিস :এটি একটি সাধারণ চোখের সংক্রমণ যা চোখ লাল, চুলকানি এবং জল পড়া সহ বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি করে।
ছানি : চোখের লেন্স ঘোলা হয়ে যাওয়া, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করে। এটি বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। চোখের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস হতে পারে, যা ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি : ডায়াবেটিসের কারণে চোখের রেটিনার ক্ষতি হয়, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করে।
চোখের সমস্যা শনাক্ত করার জন্য বছরে একবার চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত। সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা উচিত। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের পর চোখের বিশ্রাম দেওয়া উচিত। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। চোখের রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
