আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে এ বছর তীব্র এবং প্রাথমিক বর্ষার প্রভাব পড়েছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যা, ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন প্রাণ হারান। বিশেষ করে কুল্লু এবং ধর্মশালার কিছু অংশে আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার বর্ষা খুব তাড়াতাড়ি এসে পৌঁছেছে। বিশেষ করে কুলু এবং ধর্মশালা অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি। ভারী বর্ষণের ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ লাইন এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। গত সন্ধ্যা থেকে আজ সকালে প্রায় ৩৭টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ৪৭টি বিতরণ ট্রান্সফরমার (ডিটিআর) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে৷ কিছু কিছু এলাকায় ছোট ছোট সেতু ভেসে গেছে। ফলস্বরূপ স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে সূত্র মারফত৷
সড়ক যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ লাইন পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) দিনরাত কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাম্প্রতিক দিনগুলিতে নকল মহড়া এবং জেলা পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক অনুশীলন পরিচালিত হয়েছে।
তীব্র বর্ষায় সরকার পর্যটকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে৷ বর্তমানে হিমাচল প্রদেশ সরকার সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে। দ্রুত পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
