আজকাল ওয়েবডেস্ক: নরওয়ের অদূরে একটি শান্তিপূর্ণ খামারে, যেখানে গরুদের ডাক আর মাটির গন্ধে ভরে থাকে সকাল, সেখানেই ঘটে চলেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত মানুষজন সেখানে গিয়ে শুধু মাটিতে কাজ করছেন না, বরং ফিরে পাচ্ছেন হারানো স্মৃতির টুকরোও!
৭৮ বছরের মারিয়ানে রগস্তাদ, যিনি সুইজারল্যান্ডে পাঁচ দশক হোটেল কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন, নিজের পরিচয়ই হারিয়ে ফেলেছিলেন ডিমেনশিয়ার কবলে। কিন্তু "ইমপুলসসেন্টার" নামের একটি কেয়ার ফার্মে এসে, তার জীবনে যেন আবার আলো ফোটে। খামারে গাছ লাগানো, গরুকে খাওয়ানো আর অন্যদের সাথে কাজের মাঝে তিনি যেন ফিরে পাচ্ছেন জীবনের পুরনো ছন্দ।
এই “ইন পা তুনেত” বা “ইয়ার্ডে আসুন” প্রকল্প নরওয়ের জাতীয় ডিমেনশিয়া কেয়ার পরিকল্পনার অংশ। গবেষণা বলছে, প্রকৃতির সংস্পর্শে এলে শুধুই যে মন ভালো থাকে তা নয়, বরং মস্তিষ্কে তৈরি হয় বিশেষ প্রোটিন, যা স্মৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি গাছ-পালা আর গরু-ছাগলেই সম্ভব স্মৃতি ফিরে পাওয়া? নাকি এই খামারের মাটির নিচে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য? গবেষকরা এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি, তবে অনেকেরই চোখ এখন পড়েছে এই “যাদুকরী খামারের” দিকে।
খামারের সহ-পরিচালক হেনরিয়েটে ব্রিংসিয়র্ড বলেন, “অনেকেই কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যান খুশি মুখে, কিন্তু তাঁরা মনে রাখতে পারেন না ঠিক কী করেছেন। শুধু একটা জিনিস মনে থাকে—আজ একটা ভালো দিন গেছে।” এই অদ্ভুত ও অলিখিত সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপ জুড়ে। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—গার্ডেনিং কি শুধুই একটা থেরাপি? নাকি গাছেদেরও আছে স্মৃতি ফেরানোর গোপন শক্তি?
