আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকেই মনে করেন কোলেস্টেরলের পরীক্ষা শুধু তখনই প্রয়োজন, যখন হার্টে সমস্যা বা অন্য কোনো শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এমন ধারণা বিপজ্জনক হতে পারে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির মতে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরই, এমনকি তরুণ বয়সেই, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য হার্টের ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টর পরীক্ষা করানো উচিত—যদি ঝুঁকি কম থাকে, তবে প্রতি চার থেকে ছয় বছরে একবার।
কোলেস্টেরল এক ধরনের লিপিড, যা শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য। এটি কোষঝিল্লির অংশ, লিভারে পিত্ত তৈরি করতে সাহায্য করে এবং হরমোন তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। তবে সমস্যা শুরু হয় যখন রক্তে এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ এলডিএল হার্টের রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণই সর্বোত্তম প্রতিরোধ ব্যবস্থা, কারণ এতে জীবনধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
সম্প্রতি, ২২ জুলাই একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও পোস্টে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. নাভীন ভামরি (এমডি, ডিএম – কার্ডিওলজি) এই প্রসঙ্গে সঠিক বয়সের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সাধারণত প্রথমবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করার বয়স ২০ বছর। এবং এটি ফাস্টিং লিপিড প্রোফাইল আকারে করা উচিত।
যদি পরীক্ষার ফল স্বাভাবিক আসে, তবে পরবর্তী পরীক্ষা চার থেকে ছয় বছর পরে করা যেতে পারে। কিন্তু যাদের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে—যেমন পরিবারের মধ্যে হার্টের রোগের ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নিয়মিত ধূমপান, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), বা একেবারেই অলস জীবনযাপন—তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো উচিত।
ভারতীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কেউ স্থূল হয় এবং পরিবারের মধ্যে হার্টের রোগের প্রবল ইতিহাস থাকে, তবে প্রথম লিপিড প্রোফাইল ১২ বছর বয়সেই করানো উচিত।
ড. ভামরি বলেন, “তরুণ বয়সেই জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে ভবিষ্যতে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।”
সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, চিকিৎসা পরামর্শ নয়। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
