পালংশাকে আয়রনের ‘পাওয়ারহাউস’ বানায় এই একটি জিনিস! জানলেই শরীর একেবারে ফিট
নিজস্ব সংবাদদাতা
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৩ : ৩০
শেয়ার করুন
1
6
পালং শাকে নন-হেম আয়রন থাকে, যা প্রাণীজ উৎসের হেম আয়রনের তুলনায় শরীরের জন্য শোষণ করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। ফলে শুধু পালং শাক খেলে শরীর সেই আয়রন সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এই কারণেই পালং শাকের সঙ্গে লেবুর রস যোগ করা অত্যন্ত উপকারী।
2
6
লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি নন-হেম আয়রনকে এমন এক রাসায়নিক রূপে পরিণত করে, যা অন্ত্রে সহজে শোষিত হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন সি নন-হিম আয়রনের শোষণ ক্ষমতা চার গুণ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এর ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ সহজ হয় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়।
3
6
শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন থাকলে শক্তি উৎপাদন বাড়ে, লোহিত রক্তকণিকা ভালোভাবে অক্সিজেন বহন করতে পারে, ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমে, সামগ্রিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত হয়।
4
6
এই কারণে যদি কেউ নিয়মিত পালং শাক খেয়ে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে চান, তবে খাবারের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এটি স্বাদের উন্নতি তো করেই, পাশাপাশি খাবারের পুষ্টিগুণও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
5
6
লেবুর রসের মতো ভিটামিন–সি–সমৃদ্ধ উপাদান পালং শাকের সঙ্গে গ্রহণ করলে শরীর আয়রন শোষণ করতে অনেক বেশি সক্ষম হয়—এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই সহজ সংযোজন শুধু আয়রনের ঘাটতি পূরণেই সাহায্য করে না, বরং বাড়ায় শক্তি, উন্নত করে রক্তের মান, এবং সামগ্রিকভাবে শরীরকে আরও প্রাণবন্ত রাখে।
6
6
খাদ্যাভ্যাসে ছোট একটি পরিবর্তনই যে কত বড় পুষ্টিগত উপকার দিতে পারে—পালং শাক ও লেবুর রস তারই একটি কার্যকর উদাহরণ।