আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাসির বিয়েতে হুল্লোড়ের মাঝেই সর্বনাশ খুদে ভাইঝির। বিয়েবাড়িতে যৌন লালসার শিকার সে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। হাড়হিম কাণ্ড খাস যোগীরাজ্যে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়েবাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তিন বছরের এক খুদে। অভিযুক্তকে নির্যাতিতার আত্মীয়রাই আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নির্যাতিতা। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। সেদিন বিয়েবাড়িতে পৌঁছয় বরযাত্রীরা। শোভাযাত্রা বিয়েবাড়িতে পৌঁছতেই নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। সেই সময় পাত্রীর ভাইঝির উঠোনে আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। আচমকা ওই গ্রামের ৩৬ বছরের এক যুবক তিন বছরের শিশুটিকে কোলে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। 

কিছুক্ষণ পরেই সকলে টের পান, খুদে নিখোঁজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন সকলে। আতঙ্কে চেঁচামেচিও শুরু হয়। প্রায় দু'ঘণ্টা পর খুদেকে নিয়ে সেই বিয়েবাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে অভিযুক্ত যুবককে দেখা যায়। সেই সময় খুদে অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। তার জামায় ছিল রক্তের দাগ। 

তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর পাঠায় পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে তারা। অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুকন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই লখনউয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাকে। 

চলতি বছর এপ্রিল মাসেই এই রাজ্যে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। বিয়েবাড়িতে হইহুল্লোড়ে মেতেছিলেন সকলে। আচমকাই অনেকের কানে ভেসে আসে এক নাবালিকার চিৎকার। তড়িঘড়ি সকলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নাবালিকাকে উদ্ধারের পরেই, ভয়ঙ্কর অত্যাচারের বর্ণনা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন তাঁরা। বিয়েবাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আট বছরের এক নাবালিকা। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। পুলিশ জানিয়েছে, বিসারতগঞ্জ থানার অন্তর্গত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ২৪ এপ্রিল ওই এলাকারই একটি বিয়েবাড়িতে আটবছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার ৪৭ বছরের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন পরিবারের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল নাবালিকা। খাবারের লোভ দেখিয়ে ভিড়ের মধ্যে থেকে নাবালিকাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। নাবালিকার চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবার। এরপরই ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পারে। সেদিন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। 

অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। এরপর অভিযুক্তকে সেই এলাকা থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত।