বয়স বাড়লেই মানুষের নানারকম রোগ শরীরে জাঁকিয়ে বসে। তার মধ্যেই এক গুরুতর রোগ হল অ্যালজাইমার্স বা ডিমেনশিয়া-এর মতো রোগ। এই রোগ এলে বার্ধক্যে স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দেখা দেয়। মানুষ ভুলে যেতে বসে। তবে সুরাহা আছে। গবেষণা বলছে, এই রোগ দ্রুত বেড়ে যাওয়া আটকানোর জন্য এক সহজ উপায় হলো রোজ হাঁটা।
2
8
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন মাত্র তিন হাজার পা হাঁটলেও মস্তিষ্কের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী।
3
8
হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কে 'BDNF' নামের একটি বিশেষ প্রোটিন তৈরি হয়। এই প্রোটিনটি নতুন স্নায়ুকোষ তৈরি করতে এবং পুরনো কোষগুলির মধ্যে যোগাযোগকে মজবুত করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের বুদ্ধি এবং মনে রাখার ক্ষমতা বজায় রাখতে এই যোগাযোগ খুব জরুরি।
4
8
স্মৃতিভ্রমের একটি বড় কারণ হলো মস্তিষ্কে দীর্ঘদিনের 'প্রদাহ' বা জ্বালা। নিয়মিত হাঁটা এই প্রদাহ কমায় এবং স্নায়ুকোষের ওপর ক্ষতিকারক চাপ বা 'স্ট্রেস' কমাতে সাহায্য করে। এতে মস্তিষ্কের বড়সড় ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
5
8
শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটলে ঘুমও ভালো হয়। ফলস্বরূপ এটি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতা কমায়। মন শান্ত থাকলে এবং ভালো ঘুম হলে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কাজ সহজে চালিয়ে যেতে পারে। স্মৃতিভ্রমের সমস্যা সহজে শুরু হতে পারে না।
6
8
হাঁটা এক ধরনের হৃদ-ব্যায়াম। এটি রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ (সুগার) নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই দুটি বিষয় নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলির ক্ষতি হয় এবং ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
7
8
নিয়মিত হাঁটলে শরীরের ভেতরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্থাৎ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়। শরীর সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকলে মস্তিষ্কও রোগ ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
8
8
হাঁটলে শরীরে হৃদযন্ত্র ভালো কাজ করে। এর ফলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পায়। যখন রক্ত চলাচল বাড়ে, তখন মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ বা নিউরনগুলি সতেজ থাকে। এতে অ্যালজাইমার্স-এর কারণে হওয়া কোষের ক্ষতি আটকানো যায়।