নদী! নদী মানেই জীবন, নদী মানেই সভ্যতা। বিশ্বের বুকে এমন সাতটি নদী রয়েছে, যাদের দৈর্ঘ্য শুনলে অবাক হতে হয়।
2
8
১) নীল নদ: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নদী হিসেবে যার নাম, তা হলো নীল নদ। এটি আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে। মিশর বা সুদান - এগারোটি দেশের জীবন এই নদীর উপর নির্ভরশীল। এই নদী না থাকলে মিশর শুধুই মরুভূমি হত। প্রাচীন মিশরের বিশাল সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এই জলধারাকে কেন্দ্র করেই।
3
8
২) আমাজন নদী: লম্বায় দ্বিতীয় হলেও, জলপ্রবাহের দিক থেকে আমাজনই পৃথিবীর এক নম্বর নদী। এটি দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, পেরু সহ একাধিক দেশের জঙ্গল আর ভূখণ্ড ভেদ করে আটলান্টিক মহাসাগরে মেশে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঙ্গল আমাজন অরণ্য - এই নদীরই সৃষ্টি।
4
8
৩) ইয়াংসি নদী: এটি এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদী। এটি চিনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দেশের চাষবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য আর অর্থনীতির মেরুদণ্ড এই ইয়াংসি নদী।
5
8
৪) মিসিসিপি-মিসৌরি: এটি আমেরিকার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম নদী। উত্তর আমেরিকার বড় অংশ জুড়ে এর বিস্তার। আমেরিকার বহু রাজ্যের মানুষের জীবনধারণ এমনকী ব্যাবসা বানিজ্য সহ নানা কাজে এই নদী খুবই জরুরি।
6
8
৫) ইয়েনিসেই-আঙ্গারা-সেলেন্গা: এটি বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম নদী প্রণালী। রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এর অবস্থান। সাইবেরিয়ার বরফ ঢাকা অঞ্চলে এই নদীই মূলত যোগাযোগের পথ তৈরি করে।
7
8
৬) পীত নদী: জলের রং হলদেটে হওয়ার কারণে এর এমন নাম। চিনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এটি দ্বিতীয় দীর্ঘ নদী। এটি চিনের সভ্যতার আদিভূমি। তবে মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর বন্যার কারণে এটিকে 'চিনের দুঃখ' বলেও ডাকা হয়।
8
8
৭) ওব-ইর্তিশ: এই নদী বিশ্বের দীর্ঘতম নদীগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এটি রাশিয়া, কাজাখস্তান ও চিনের কিছু অংশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে।