‘জওয়ান’-এ শাহরুখ খানের সঙ্গে স্ক্রিনে নজর কেড়েছিলেন গিরিজা ওক গডবলে। এবার আসছেন ওয়েব সিরিজ ‘থেরাপি শেরাপি’-তে, যেখানে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে গুলশন দেবাইয়াকে। সিরিজটি মুক্তির আগেই গিরিজা শুটিং সেটে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন খোলাখুলি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় সাধারণত ‘ইনটিমেসি কোঅর্ডিনেটর’-রা উপস্থিত থাকেন। পুরো সেটের পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে অভিনেতা–অভিনেত্রীরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আগেই আলোচনাও হয় কীভাবে দৃশ্যটি হবে, কতটা দেখা যাবে, কোথায় কাট হবে। পুরো পরিকল্পনাটা পরিষ্কার থাকে।’’
তবু সব প্রস্তুতি সত্ত্বেও কিছু মুহূর্তে মানসিক অস্বস্তি থেকে যায়, বললেন গিরিজা। ‘‘ক্যামেরা চলা শুরু করলে কখনও মনে হয়, ঠিক করছি তো? থামব নাকি? এই অংশটা ঠিক লাগছে তো? এগুলো অনেকটাই ‘গ্রে জোন’।’’
তবে অভিনেত্রীর মতে, কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের সঙ্গে কাজের সময় কোনও রকম অস্বস্তি থাকে না। গুলশন দেবাইয়া তাঁদের মধ্যে অন্যতম। গিরিজার ভাষায়, “গুলশন এতটাই ভাবুক আর পেশাদার! সে নিজের ভ্যানিটি ভ্যান থেকে তিন-চার রকম বালিশ এনে দিল -ছোট, বড়, নরম, শক্ত। তারপর বলল, ‘তুমি যেই বালিশটাতে আরাম বোধ করো, সেটাই নাও।’ দৃশ্য চলাকালীন অন্তত ১৬-১৭ বার জিজ্ঞেস করেছে, ‘তুমি ঠিক আছো তো?’”
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘একবার একটা বালিশে অস্বস্তি হচ্ছিল। গুলশন নিজে বলল, ‘চাও তো তুলে ফেলি বালিশটা, আমার কিন্তু কোনও অসুবিধে নেই।’ ওই রকম যত্ন আর সম্মান সত্যিই ছুঁয়ে যায়। অন্য কারও সঙ্গে হয়তো এই দৃশ্যটা করা খুব কঠিন হত, কিন্তু গুলশন থাকায় আমি একদম নিশ্চিন্ত ছিলাম। তাই এখন খোলাখুলি এসব নিয়ে কথা বলতে পারছি। ও সত্যিই অসাধারণ একজন মানুষ।’’
‘থেরাপি শেরাপি’ সিরিজটি পরিচালনা করেছেন শচীন পাঠক। গিরিজা ও গুলশন ছাড়াও এই সিরিজে রয়েছেন নেহা ধুপিয়া, সীমা পাহওয়া ও মনোজ পাহওয়া। তবে মুক্তির তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
