তিরিশ বছর পেরিয়ে গেলে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ কঠিন হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। নিচে এর প্রধান পাঁচটি সমস্যা আলোচনা করা হলো।
2
6
১) কম সংখ্যক পাত্র-পাত্রীর পছন্দ: তিরিশের পরে বিবাহযোগ্য পাত্র-পাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে আসে। বিশেষ করে, যদি পাত্র/পাত্রী সুপ্রতিষ্ঠিত বা নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড (যেমন: পেশা, শিক্ষা, পারিবারিক অবস্থান) খোঁজেন, তবে সেই মানদণ্ড পূরণকারী উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ পারিবারিক ও সামাজিক চাপ সত্ত্বেও প্রত্যাশা অনুযায়ী কাউকে খুঁজে পেতে অনেক সময় লেগে যায়।
3
6
২) ব্যক্তিগত অভ্যাসের দৃঢ়তা ও ছাড় দিতে অনীহা: তিরিশ বছর বা তার বেশি বয়সে মানুষ তার নিজস্ব জীবনধারা, অভ্যাস এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা উপভোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে যান। নতুন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে অন্যের জীবনধারা ও অভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বা পরিবর্তন আনা অনেকের কাছে কঠিন মনে হয়। 'ছাড় দেওয়ার" মানসিকতা কম থাকলে সম্পর্ক স্থাপন ও তা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।
4
6
৩) সন্তানধারণের বিষয়: অনেকের কাছে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে, ৩০-এর পর বিয়ে হলে সন্তানধারণের সময়সীমা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলি একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাত্র/পাত্রী'র পক্ষ থেকেও অনেক সময় এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এটি উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে।
5
6
৪) উচ্চ প্রত্যাশা এবং দীর্ঘ যাচাই প্রক্রিয়া: দেরি করে বিয়ে করলে পাত্র বা পাত্রী, উভয়েরই সঙ্গীর প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। যেমন - আর্থিক সচ্ছলতা, সামাজিক অবস্থান, উচ্চশিক্ষা বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের চাহিদা। পরিবার এবং ব্যক্তি উভয়েই দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গী নির্বাচন করতে গিয়ে অনেক বেশি খুঁতখুঁতে হয়ে যান এবং ছোট ছোট বিষয়েও অনেক বেশি যাচাই-বাছাই করেন, যার ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়।
6
6
৫) সামাজিক চাপ ও ভুল ধারণা: তিরিশের পরে বিয়ে না হলে সমাজে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন, সমালোচনা বা ভুল ধারণা (যেমন - ব্যক্তিত্বের সমস্যা, অতীতের কোনও সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন) তৈরি হয়।