লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। হলুদ ধাতুতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে আমজনতার। তবুও দীপাবলির আগে বিশেষত ধনতেরাসে প্রতি বছর সোনা কেনার চল চোখে পড়ে। আসলে গয়না হোক বা বিনিয়োগ, বিশাল রিটার্ন পাওয়ার জন্য আজও সোনা মানুষের প্রথম পছন্দ। কিন্তু সোনা কেনার সময়ে বেশি কিছু বিভ্রান্তি দেখা যায়। ২৪ ক্যারাট, ২২ ক্যারাট না কি ১৮ ক্যারাট,কোন সোনা সেরা-এই নিয়ে অনেক সময়ে সংশয় থাকে। সেক্ষেত্রে সোনা কেনার সময় অন্ধভাবে ঝলক দেখে নয়, সচেতন হয়ে বিনিয়োগ করা জরুরি।
2
11
অনেকেই জানেন না, সব সোনা সমান নয়। কোন ক্যারাট সোনা টেকসই, কোনটা শুধু বিনিয়োগের জন্য ভাল-এই বিষয়গুলো জানা থাকলে ঠকার আশঙ্কা থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ক্যারাট ও মান যাচাই করেই সোনা কেনা উচিত।
3
11
সোনার বিশুদ্ধতা মাপা হয় ক্যারেট (কে) দিয়ে। ২৪ ক্যারাট সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ। এতে প্রায় ৯৯.৯% খাঁটি সোনা থাকে। কিন্তু এতটা খাঁটি সোনা খুবই নরম, তাই তা দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য গয়না বানানো যায় না।
4
11
২২ ক্যারাট সোনা তুলনামূলকভাবে একটু শক্ত, কারণ এতে প্রায় ৯১.৬% সোনা এবং বাকিটা অন্যান্য ধাতু যেমন তামা, রূপা, দস্তা ইত্যাদি মেশানো থাকে। ১৮ ক্যারাট ও ১৪ ক্যারাট সোনা আরও শক্ত এবং টেকসই। কারণ এতে ধাতুর অনুপাত বেশি থাকে।
5
11
কোন সোনা সবচেয়ে টেকসই? বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু বিশুদ্ধ সোনা নরম হয়, তাই টেকসই গয়না বানানোর জন্য কম ক্যারাটের সোনা বেশি উপযোগী।
6
11
১৮ ক্যারাট সোনা (৭৫% সোনা): এটি শক্ত, টেকসই এবং দীর্ঘদিন ধরে জেল্লা ধরে রাখে। নেকলেস, আংটি বা বালা তৈরির জন্য এটি আদর্শ। ১৪ ক্যারাট সোনা (৫৮.৫% সোনা): সবচেয়ে শক্ত ও ব্যবহারযোগ্য। নিয়মিত ব্যবহৃত গয়নায় এই ক্যারাট বেশি জনপ্রিয়।অন্যদিকে, ২৪ ক্যারেট সোনা বিনিয়োগের জন্য ভাল, কিন্তু প্রতিদিন পরার জন্য নয়।
7
11
সোনা কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত। তা হল- ১. হলমার্ক চিহ্ন খুঁজতে হবে। বিআইএস বা অন্য স্বীকৃত সংস্থার হলমার্ক না থাকলে সোনা কিনবেন না। এই চিহ্নই বলে দেয় সোনা আসল না নকল।
8
11
২. ক্যারাট উল্লেখ আছে কিনা দেখা জরুরি। গয়নার ভেতরে বা বিলের ওপর ক্যারাট লেখা থাকতে হবে।
9
11
৩. ওজন ও দামের হিসাব মিলিয়ে নিন। সোনার ওজন, মেকিং চার্জ ও ট্যাক্স পরিষ্কারভাবে বুঝে নিন।
10
11
৪. উদ্দেশ্য বুঝে কিনুন। অর্থাৎ বিনিয়োগের জন্য ২৪ বা ২২ ক্যারাট ভাল। আর নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ১৪ বা ১৮ ক্যারাটই সেরা।
11
11
৫. বিক্রেতার সুনাম যাচাই করুন। অর্থাৎ অনুমোদিত ও বিশ্বস্ত দোকান থেকেই কেনাকাটা করা শ্রেয়।