বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে ধনতেরাস, ভূতচতুর্দশী। এখন অপেক্ষায় কালীপুজো। কালীপুজোয় শব্দবাজি নিষেধ, তবুও কালীপুজোর সঙ্গে বাজি যেন কোথাও গিয়ে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে। নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দেয় ফুলঝুরি, রংমশাল, কালিপটকারা। এই নস্টালজিয়ায় ভেসে নিজেকে বাজির সঙ্গে তুলনা করলেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র।
সৌরসেনীর কথায়, "বন্ধুরা আমায় দোদোমা বলে ডাকে। কারণ, যখন-তখন ফেটে যেতে পারি! এই বাজিটার সঙ্গেই একমাত্র নিজের মিল খুঁজে পাই। বাজি পোড়ানো এখন আর তেমনভাবে হয় না। আসলে আমরা যে প্ল্যাটফর্মে আছি, সেখানে দাঁড়িয়ে মানুষকে যদি ভুল পথে চালিত করি, তাহলে তো এটা আমাদের জন্যই খারাপ। সচেতনতা বজায় রাখার জন্যই এখন আতসবাজি থেকে দূরেই থাকি।"

সৌরসেনী আরও বলেন, "কালীপুজো আমার কাছে সব সময় স্পেশাল। দুর্গাপুজোয় যেমন রাত জেগে ঠাকুর দেখতাম, কালীপুজোর দিনও রাত জাগতাম। আমার মামার বাড়ি ঠিক আমার বাড়ির উল্টোদিকে। কালীপুজোর দিন ওঁদের বাড়ি লক্ষ্মীপুজো হয়। সব ভাইবোনরা একসঙ্গে খুব মজা করতাম। শুধু কালীপুজোর দিন নয়, তার দু'তিনদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হতো।"
অভিনেত্রী বলেন, "প্রতি বছর ধনতেরাসের দিন বাবা-মার সঙ্গে গয়নার দোকানে যেতাম। সোনা কিংবা রূপোর কিছু একটা কিনতাম। তা সে যত ছোটই হোক, এদিন সোনা-রূপো ঘরে আসত। এরপর বাবার হাত ধরে যেতাম বাজির বাজারে। প্রচুর বাজি কিনতাম। কী কী নতুন বাজি এসেছে, সেগুলো দেখতাম। বেছে বেছে বাজি কেনার মজাই আলাদা। তারপর পাড়ার বন্ধুরা, ভাইবোনরা একসঙ্গে নিজেদের বাজিগুলো এক জায়গায় জড়ো করতাম। রোদে দিতাম সবার বাজি। তখন হালকা শীত পড়ত কালীপুজোয়। কী যে ভাল ছিল দিনগুলো!"
আরও পড়ুন: দিতিপ্রিয়ার কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ালেন জিতু! মান-অভিমান মিটিয়ে ফের এক হলেন পর্দার 'আর্য-অপর্ণা'?
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে কালীপুজো পড়েছে ২০ অক্টোবর। এই দিন রাতেই পুজো। কালীপুজোর প্রধান অঙ্গ হলো কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে নিশীথকালে (মধ্যরাত্রি) দেবীর আরাধনা করা। কিন্তু অমাবস্যা কখন শুরু কখন শেষ হচ্ছে, সেই সময় অনেকের মনেই রয়েছে ধন্দ। কারণ ২১ অক্টোবরও রয়েছে অমাবস্যা তিথি।অর্থাৎ ২১ অক্টোবর বা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুজো করা যাবে। সাধারণত কালীপুজো রাতের দিকেই অনুষ্ঠিত হয়। তাই নিয়ম মতো ২০ অক্টোবর রাতেই অনুষ্ঠিত হবে কালীপুজো। রাতেই তৈরি হচ্ছে অমাবস্যা তিথির মাহেন্দ্রক্ষণ।
