সংবাদ সংস্থা মুম্বই: দুষ্কৃতীর হানার পর চিকিৎসা সেরে গত মঙ্গবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ আলি খান। খুঁড়িয়ে, খুঁড়িয়ে হাঁটা নয়, মুখে আহা-উহু কাতরানি নয় বরং রীতিমতো সিংহবিক্রমে ছবিশিকারিদের সামনে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে করজোড়ে অভিবাদন জানাতেও দেখা গিয়েছিলেন বলি-তারকাকে। সইফের পরনে ছিল সাদা শার্ট, জিন্‌স। বাঁ হাতের কব্জিতে বাধা ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাঁটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাড়ি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা ও পুলিশ। তবে এরপর থেকেই সমাজমাধ্যমে পাক খাচ্ছে একটি প্রশ্ন –“আদৌ কি কিছু হয়েছিল সইফের? পুরো ব্যাপারটাই সাজানো নয় তো?”

 

 

 

কেন এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাচ্ছেন তাঁরা, সে যুক্তিও দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের প্রশ্ন –“যে ব্যক্তির এত বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে তাও আবার মেরুদণ্ডে, সে কী করে এত তাড়াতাড়ি দৃপ্ত ভঙ্গিতে হাঁটাচলা করতে পারে? এরকম গুরুতর আঘাত, ততোধিক বড় অস্ত্রোপচারের পর কি এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠা যায়?” কেউ আবার লিখছেন –“যা হয়েছে, তার থেকে বেশি পল্লবিত হয়েছে গোটা ঘটনা।”

 


লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সইফের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পড়েছে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ। শরীরে ছিল ছ'টি ক্ষত, তার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। পিঠে গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। ঘাড়েও গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন বলি-তারকা না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েও শরীরে গেঁথে ছিল ছুরির অংশ, চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে তা বের করেন। শিরদাঁড়ায় ২.৫ ইঞ্চির ছুরি গেঁথে ছিল, আর  সেই কারণে  সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হয়েছিল বলেও জানা যায়।

 

অন্যদিকে, আরও ঝামেলায় ফাঁসতে চলেছেন সইফ। মধ্যপ্রদেশ সরকার শীঘ্রই ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অভিনেতার পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বর্তমানে যার মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫ সাল থেকে এই সম্পত্তির উপর দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ভোপাল হাই কোর্ট। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্ট সইফের আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারে আর কোনও বাধা রইল না।
২০১৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল যে ভোপালের শেষ নবাবের সম্পত্তি ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অধিগ্রহণ করা হবে।