সংবাদ সংস্থা মুম্বই:  একসময় বলিউডের নামজাদা তারকাদের ছবিতে শোনা যেত তাঁর কন্ঠ। তিনি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। বলিউডের ছবিতে একসময় শাহরুখ খানের কণ্ঠ বলা হতো অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে। নয়ের দশকে একের পর এক দর্শককে নানা জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই জুটি। সেইসব গানের জনপ্রিয়তার রেশ আজও দিব্যি টের পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে শাহরুখের গানে অনুপস্থিত তিনি। একাধিক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের প্রতি তাঁর উষ্মা, মনখারাপ ব্যক্ত করেছেন অভিজিৎ। সম্প্রতি, এক রিয়্যালিটি শো-তে শাহরুখকে নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করতেই, অভিজিৎকে 'মিথ্যুক' বলে ওঠেন জনপ্রিয় সুরকার ললিত পন্ডিত! 

 

নয়ের দশকে বলিউডে অন্যতম জনপ্রিয় সুরকার জুটি ছিল যতীন-ললিত। এই সুরকারদ্বয় শাহরুখের একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন। তাঁদের তৈরি সুরে গান গেয়েছেন অভিজিৎ-ও। এমনই একটি ছবির নাম 'ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি'। সেই ছবিতে 'আই অ্যাম দ্য বেস্ট' গানে শাহরুখের গলায় শোনা গিয়েছিল অভিজিতের কন্ঠ। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সেই গান। ওই গানের একেবারে শেষে একেবারে শেষে 'আই অ্যাম দ্য বেস্ট' কলি নিজের গলায় গেয়ে ওঠেন শাহরুখ নিজেই। ওই রিয়্যালিটি শো-তে অভিজিৎ দাবি করেন, শাহরুখকে নিজের গলায় গেয়ে ওঠার বুদ্ধি তিনি-ই নাকি দিয়েছিলেন। শোনামাত্রই পাশে বসা যতীন পন্ডিত হেসে অভিজিতের উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন, "এই এত ঢপ দিস না! ওই ব্যাপারটা শাহরুখের নিজের-ই সিদ্ধান্ত ছিল।"

 

শোনামাত্রই অপ্রস্তুত হয়ে যান অভিজিৎ। ঈষৎ রেগেও যান। এরপর রাগত গলায় যতীনকে তাঁর প্রশ্ন, "তাহলে কি আমি মিথ্যা বলছি?" যতীন-ও সে প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিয়ে বলেন, "আমিও ওই গান রেকর্ডিংয়ের সময় সশরীরে স্টুডিওতে ছিলাম। আমার স্মৃতি যথেষ্ট পরিস্কার। শাহরুখ নিজেই গেয়ে উঠেছিলেন এবং এক টেকে ওকে হয়ে গিয়েছিল ওঁর গাওয়া ওই গান।" শোনামাত্র অভিজিৎ ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করেন তাহলে কি তিনি মিথ্যা বলছেন। 'ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি' ছবির অন্যতম সুরকারের সহাস্য জবাব আসে, "আমি যখন পাশে বসে, তখন এই ঘটনাকে বেশি অতিরঞ্জিত না করাই ভাল। তাই না?"

 

 

বর্তমানে শাহরুখের প্রতি কি মনের গহীনে রাগ পুষে রেখেছেন অভিজিৎ? এর জবাবে অভিজিৎ বলেছিলেন, “এরকম নয় যে শাহরুখের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু শাহরুখ এখন আর সাধারণ মানুষ নন, তিনি এখন এতটাই বিরাট তারকা। হয়তো শাহরুখ নিজেও জানে না যে ও ঠিক কত বড় তারকা এইমুহূর্তে। উল্টোদিকে আমি যা ছিলাম সেই-ই মানুষটাই রয়ে গিয়েছি। তাই ওঁর থেকে কিছু আশা করবই বা কেন আমি? আমি নিজের মতো জীবনে এগোচ্ছি। শাহরুখের থেকে বছর পাঁচ কিংবা ছয় বড় আমি। আমাদের দু’জনেরই ইগো রয়েছে। আমাদের দু'জন্যেই বৃশ্চিক রাশি। তবে আমি বড় বৃশ্চিক! আমার ওঁর সমর্থনেরও প্রয়োজন নেই। ওঁকেও প্রয়োজন নেই!”