অরিন্দম মুখার্জি: সব ঠিকঠাকই চলছিল। মনের আনন্দে খেলে বেড়াচ্ছিল দুই শিশু। কিছুক্ষণেই যে সব বদলে যাবে, আন্দাজ করতে পারেননি কেউ। আচমকাই খড়ের গাদায় আগুন লাগে এবং খেলতে গিয়ে সেই আগুনে ঝলসে গিয়ে মৃত্যু দুই শিশুর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কদমডি গ্রামে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের বাড়ির পিছনের দিকে মজুত খড়ের গাদাতেই শনিবার দুপুর থেকে খেলছিল দুই শিশু। তাদের নাম  সোলেমান হেমরম এবং আকাশ বিশ্রা। বয়স আনুমানিক সাড়ে তিন বছর। খেলতে খেলতে আচমকাই খড়ের গাদায় আগুন লেগে যায় বলে জানা গিয়েছে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। শিশুদুটি কিছু বোঝার আগেই, ঝলসে যায় আগুনে। বুঝতে পেরেই তৎক্ষণাৎ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাজগর হাসপাতালে।  বলরামপুর থানার আইসি-সহ পুলিশ উপস্থিত হয় হাসপাতালে। তবে প্রাণে বাঁচানো যায়নি দুই শিশুকেই। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকা জুড়ে। কেউ বুঝতেই পারছেন না কী থেকে কী ঘটে গিয়েছে নিমেষে। কীভাবে ঘরের পিছনে থাকা খড়ের গাদায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, তাও নিশ্চিত করে বুঝতে পারছেন না কেউই। আচমকাই আগুন লাগলে তা কীভাবে লাগল? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও কারণ? সেসব প্রশ্নের নিরসন হয়নি এখনও। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আচমকা জানতে পারনে, বাড়ির পিছনের দিকে জড় করে রাখা খড়ের গাদায় আগুন লাগে। তড়িঘড়ি সকলে ছুটে গেলেও শিশুদুটিকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই শিশুর বাবা, কেউই সেই সময় ছিলেন না ঘটনাস্থলে। তাঁরা দু'জনেই জামশেদপুরে কর্মরত বলেও জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে। 

আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনায় মাসখানেক আগে স্তব্ধ হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। অক্টোবর মাসেই অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমায় বাজি তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাণ যায় একের পর এক। তথ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসীমা জেলার রায়াবরম মণ্ডলে অবস্থিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত আতশবাজি তৈরির কারখানা লক্ষ্মী গণপতি বন সঞ্চা প্রস্তুতি কেন্দ্রে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় ঝলসে প্রাণ যায় ছ'জনের। গুরুতর আহত হন আরও দু'জন। চলতি বছরের শুরুতে, খাস কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে, কল্যাণীতে বাজি কারখানা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় চারজনের।  মৃতদের নাম ভারতী চৌধুরী(৬০), রুমা সোনার (৩৫), অঞ্জলি বিশ্বাস (৬০), দুর্গা সাহা(৪০)।