নিজস্ব সংবাদদাতা: ফেলুদা, ব্যোমকেশ, সোনাদার পর বাংলা সিনেমা এক নতুন গোয়েন্দাকে পেয়েছিল। পরিচালক-সাংবাদিক দুলাল দে-র ‘অরণ্য'র প্রাচীন প্রবাদ’ ছবিতে গোয়েন্দা হিসাবে হাজির হয়েছিলেন জীতু কমল।  এই গোয়েন্দা  রহস্যের সমাধান করার পাশাপাশি ডাক্তারি পড়েন, চুটিয়ে ক্রিকেট-ও খেলেন। জীতুর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল মিথিলা-কে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার। এবং আরও অনেকে। প্রথম ছবিতে চিকিৎসাবিজ্ঞান, খেলার মাঠ আর রহস্যের ত্রিফলা। অরণ্য চট্টোপাধ্যায়’-এর একাধারে অনেক গুণ। তিনি ক্রিকেট খেলতে পারেন। চিকিৎসক। এক চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁর গোয়েন্দা সত্ত্বা প্রকাশ্যে আসবে।

 

এক সত্য ঘটনার অবলম্বনে ছবির গল্প লিখেছিলেন দুলাল নিজেই। বহু বছর আগে কলকাতা পুলিশের এক টানটান তদন্তকে উপজীব্য করেই। জীতু, মিথিলা, শিলাজিৎ মজুমদার-সহ এক ঝাঁক তারকার অভিনয়ে সেই রহস্যকাহিনি এবার রূপ পেল বইয়ের মলাটে। সহজ কথায়, এবার সেই ছবির গল্প বই হিসেবে প্রকাশিত হল। আর তা উদ্বোধন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। লালবাজারে কমিশনারের অফিসে হাজির হয়েছিলেন জীতু কমল এবং দুলাল দে। সেখানেই তাঁরা এই বইটি তুলে দেন কমিশনারের হাতে। এরপর বইয়ের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে নগরপালকে বলেন পরিচালক। মন দিয়ে শুনে এই ডাকাবুকো আইপিএস-এর আগ্রহী প্রশ্ন –“কলকাতা পুলিশের কোন তদন্তের উপর ভিত্তি করে এই বই লেখা?” শোনামাত্রই পাশে থাকা উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক বলে ওঠেন, “২০০৭-২০০৮ সালের সেই শান্তিপুরের ঘটনা স্যার...” 

 

জবাব শুনে দৃশ্যতই আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন কমিশনার। স্মিত হেসে খুঁটিয়ে দেখতে থাকেন বইয়ে থাকা রঙিন সব ছবি।  মৃদু স্বরে পরিচালককে টুকিটাকি প্রশ্ন জিজ্ঞেসও করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের ছবি নিয়ে। কমিশনার মনোজ এরপর আগ্রহভরে বইয়ের ছবি ঘেঁটে দেখেন, পরিচালকের কাছ থেকে শুনে নেন পুঙ্খানুপুঙ্খ। শেষে ‘অরণ্য’র টিমকে জানালেন আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 

প্রাচীন প্রবাদ এখন শুধু পর্দায় নয়, রয়ে গেল বইয়ের পাতাতেও। সিনেমা থেকে সাহিত্য— বাংলা রহস্যরোমাঞ্চের তালিকায় আরও এক নতুন সংযোজন।