নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর বেশিরভাগ ছবিতে মুখ্যচরিত্রের পাশাপাশি আলো করে থাকেন মা অথবা মাতৃস্থানীয় চরিত্ররা। পর্দায় অল্প সময়ের জন্য উপস্থিতি থাকলেও  কখনও তাঁদের দেখে চোখ ছলছল করে ওঠে দর্শকের কখনও বা মনকেমন। তিনি, পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের ছবির গল্প-চিত্রনাট্য নিজেই লেখেন কৌশিক। মায়া, ভালবাসা, যত্ন দিয়ে আষ্ঠেপৃষ্ঠে মুড়িয়ে।  

 

গত বছর প্রয়াত হয়েছেন পরিচালকের মা। ২০২৪-এর ১৮ আগস্ট মাতৃহারা হয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।  এদিন মাতৃ দিবসে আজ তাই চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছে তাঁর। সঙ্গে খানিক মনকেমন। আর পাঁচটা দিনের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আরও বেশি করে তাঁর মনে পড়ছে মা'কে। আজকাল ডট ইন-কে অল্প কথায় ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর পরিচালক বললেন, " আর মাদার্স ডে... এ বছর থেকে মা নেই, এখন বাকি শুধু সিনে-মা। বিভিন্ন মায়েদের  চরিত্র লেখা ও তাঁদের গল্প ছবিতে বলব । এটুকুই।"

যাঁর নিজের লেখা চিত্রনাট্যগুলোয় ‘মা’ মানে কেবল সম্পর্ক নয়—একটা গভীর অনুভব, একরাশ স্নেহ, অনেকটা অভিমান, আর প্রচণ্ড রকম মায়া। আজ সেই মানুষটির নিজের চোখেই জল।

 

গত বছরেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালিত 'কাবেরী অন্তর্ধান' ছবি সম্মানিত হয়েছে জাতীয় পুরস্কারে। সেই আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই দুঃসংবাদের বজ্রপাত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে। দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন পরিচালকের মা। এদিন বিকেলে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কৌশিকের স্ত্রী তথা পরিচালক-অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় আবেগতাড়িত গলায় আজকাল ডট ইন-কে জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর আগে ছেলের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির খবর জানতে পারেননি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মা।