বড়দিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রজাপতি ২’। ছবির প্রচারে কোনও ত্রুটি রাখছেন না তারকারা। পরিশ্রমের ফলকে ব্যবসা-সফল করতেই ছুটে বেড়ানো। তার মধ্যেই মঙ্গলবার দেবের একটি পোস্ট নজর কাড়ে। তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি জনপ্রিয় সিঙ্গল স্ক্রিন হলের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে টাঙানো রয়েছে ‘মিতিন মাসি’র পোস্টার। রয়েছে ‘প্রজাপতি ২’ ছবিটিরও পোস্টার। যদিও দেব এদিন যখন ছবিটি পোস্ট করেছেন ‘মিতিন মাসি’ ছবির পোস্টার ব্লার করে দিয়েছেন। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই বছর আমাকে অনেকে অনেক তকমা দিয়েছে, কেউ মাফিয়া তো কেউ মেগাস্টার। তারপরও সিনেমা হলে আমার সিনেমার পোস্টার লাগার পরও, আমার সিনেমা জায়গা পায়নি। আশা করি সিনেমা হলের মালিকরা খুশি, কারণ তারা যদি বাঁচে বাংলা সিনেমা বাঁচবে। প্রত্যেকটা বাংলা সিনেমা ভাল চলুক, বাংলা সিনেমার জন্য আমার লড়াই চলবে।’
এক সময় এই প্রেক্ষাগৃহেই দেবের ছবি মুক্তি পেলেই উৎসবের আবহ তৈরি হতো। টিকিট কাটতে উপচে পড়ত অনুরাগীদের ভিড়, ফ্যানক্লাবগুলির উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত প্রাঙ্গণ। সেই প্রিয় প্রেক্ষাগৃহেই যেন ‘অবহেলিত’ নায়ক। এই বদলে যাওয়া ছবিটাই কি মন খারাপের কারণ? অভিনেতার কথায়, “১২ টার সময় ওই পোস্টটা করেছিলাম। চারটের মধ্যে সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি। আমি চাই, প্রত্যেকটা ছবি ভাল চলুক। আমি শো পেলাম কি পেলাম না সেটা বড় কথা নয়। যাঁরা ছবি চালাচ্ছেন, তাঁরা যেন ভাল থাকেন। বাংলা ছবির ভাল হোক। এটাই চাই। এটুকু বলতে পারি, এখনও পর্যন্ত যাঁরা ‘প্রজাপতি ২’ দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন এটা আজ পর্যন্ত দেব, অভিজিৎ সেন এবং অতনু রায়চৌধুরির সেরা ছবি।”
দেব জানান, ‘প্রজাপতি ২’ দেখে মুগ্ধ হরনাথ চক্রবর্তীও। নায়ককে ফোন করে সে কথা জানিয়েছেন স্বয়ং পরিচালক। তিনি বললেন, “আজ উনি (হরনাথ চক্রবর্তী) আমায় ফোন করে আধ ঘণ্টা ধরে শুধু প্রশংসাই করে গেলেন। ছবিটা নিয়ে, পুরো ব্যাপারটা নিয়ে। আমি খুবই আশাবাদী। সারারাত ধরে খোঁজ রেখেছি ছবিটা নিয়ে কোথায় কী হচ্ছে। আমি তো সাবান বিক্রি করছি না। আমি সিনেমা বানাই। সেখানে আবেগ জরুরি। আমার মধ্যে আবেগ না থাকলে সিনেমা বানাব কী করে। সেই আবেগের জায়গা থেকে পোস্টটা করেছি।”
আর মাত্র একদিন। তারপরই পর্দায় ‘প্রজাপতি ২’-র আগমন। আপাতত তারই অপেক্ষায় দেব। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় কাজ কথা বলুক। সব উত্তর বক্স অফিস দেবে। বাংলার মানুষ দেবে। চ্যালেঞ্জ বা থ্রেট করে কথাটা বলছি না। বাকি উত্তর দর্শক দিক”
