শরীরে ক্যানসারকে থাবা বসাতে দেয় না! রান্নায় এই মশলা অমৃতের চেয়ে কম নয়
নিজস্ব সংবাদদাতা
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪ : ০৫
শেয়ার করুন
1
6
খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি যে মশলা শরীরের উপকারও করে, তার মধ্যে হলুদ অন্যতম। ‘ইন্ডিয়ান স্যাফরন’ নামেও পরিচিত এই মশলা রান্নার স্বাদ যেমন বাড়ায়, তেমনই প্রদাহ কমাতে ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করতে পারে। হলুদের মূল কার্যকর উপাদান কারকিউমিন বর্তমানে ক্যানসার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই ‘সোনালি মশলা’ প্রদাহ কমায় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ, আপেলের খোসা ও গ্রিন টির মতো খাবারে থাকা কিছু রাসায়নিক উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
2
6
কারকিউমিন বা ডাইফেরুলয়েলমিথেন হল সেই উপাদান, যা হলুদকে তার উজ্জ্বল রং ও ঔষধি গুণ দেয়। ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, যেসব দেশে মানুষ দৈনিক ১০০-২০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন গ্রহণ করেন, সেখানে স্তন, অন্ত্র, পাকস্থলী ও ত্বকের মতো কিছু ক্যানসারের হার তুলনামূলক কম। এই তথ্য থেকেই বোঝা যায়, খাদ্যতালিকায় কারকিউমিন বাড়ালে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
3
6
সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ডা. সৌরভ কুমার অরোরা জানান, কারকিউমিন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়া ধীর করতে পারে। এটি এমন কিছু রাসায়নিককে আটকায়, যা ক্যানসার বাড়তে সাহায্য করে। কেমোথেরাপি ও রেডিয়োথেরাপির সময় কারকিউমিন ক্যানসার কোষকে এই চিকিৎসার প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে, ফলে চিকিৎসা আরও কার্যকর হতে পারে।
4
6
ডা. অরোরা জানান, কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে। এটি কেমো ও রেডিয়োথেরাপির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুস্থ কোষকে রক্ষা করে। এর ফলে একদিকে যেমন প্রচলিত চিকিৎসার কার্যকারিতা বাড়ে, তেমনই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিছুটা কমে। কারকিউমিন ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এবং ক্যানসার হয়ে গেলেও টিউমারের বৃদ্ধি ধীর করতে ও শরীরের অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সাহায্য করতে পারে।
5
6
বিশেষ করে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। ‘ফুডস’ নামে একটি গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হলুদের কারকিউমিন এই ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে।
6
6
ডা. অরোরা জানান, ভা ফল পেতে দৈনিক ৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন গ্রহণ করা যেতে পারে। কাঁচা হলুদ থেকে এতটা কারকিউমিন পাওয়া কঠিন, তাই প্রাকৃতিক কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট বা ক্যাপসুল নেওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘদিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ প্রত্যেকের প্রয়োজন আলাদা হতে পারে।