সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অনুরাগ কাশ্যপ মানেই সোজাসাপ্টা, কাটা-কাটা কথাবার্তা। শিল্পীর আপোষহীন মেজাজ বারবার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’-এর পরিচালক রাখঢাক না রেখে জানিয়েছেন, বলিউডের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ছেন তিনি! পাশাপাশি এও জানালেন এবার থেকে তাঁকে দেখা যাবে দক্ষিণী ছবির জগতে। বলিপাড়ার ছবি তৈরির মানসিকতাকে তীব্র নিন্দা করেছিলেন তিনি। এবার বলি-পরিচালকদের একহাত নিলেন অনুরাগ!
কোনও রাখঢাক না করে অনুরাগ জানালেন আজকালকার বলি-পরিচালকদের পুষ্পা র মতো ছবিও তৈরি করতে পারেন না, কারণ তাঁদের সেই ‘বুদ্ধি’ই নেই! ‘গুলাল’ ছবির পরিচালকের দাবি, আজকাল ঝুঁকি নিতে ভয় পায় হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রি। “এঁরা কিছুই বোঝে না। একটা ‘পুষ্পা’র মতো ছবি পর্যন্ত বানাতে পারে না। তাঁরা পারেন না কারণ এরকম ছবি বানানোর মতো বুদ্ধিটুকু তাঁদের নেই। ছবি তৈরি করাটাই তো ঠিক করে শিখে উঠতে পারেনি এঁরা। বলা ভাল, জানেন-ই না। পুষ্পা একমাত্র বানানো সম্ভব ছিল পরিচালক সুকুমারের পক্ষেই। কারণ দক্ষিণী ছবির ইন্ডাস্ট্রি পরিচালকের উপর ভরসা রাখে, তাঁর উপরে লগ্নি করে ছবি তৈরির জন্য। আর এখানে? এখানে সবাই ইউনিভার্স বানাতেই ব্যস্ত! আচ্ছা, এই বলি-পরিচালকরা কি আদৌ বোঝেন তাঁদের এই নিজেদের জগতে ঠিক কতটা ক্ষুদ্র তাঁরা? তাঁরা বুঝতে চান না, আর সেটাই ইগো। যখন কেউ এই 'ইউনিভার্স' তৈরি করে ফেলেন, নিজেকেই ঈশ্বর ভাবা শুরু করে দেন!”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুরাগ এও জানিয়েছিলেন যে আজকাল বলিউডে ছবি তৈরির যে মজাটা সেটাই হারিয়ে গিয়েছে। পরিচালকের কথায়, “এখনকার প্রযোজকেরা ছবি তৈরির আগে সেটাকে বেচবে কীভাবে এবং কত ভাবে, সেই হিসাব কষা শুরু করে দেন! এখানকার এই তো মানসিকতা। এসব দেখে এককথায় আমি তিতিবিরক্ত! আরও একটা উদাহরণ দিই এখানকার ছবি নির্মাতাদের চিন্তাভাবনার। ‘মনজুম্মেল বয়েজ’-এর মতো চিত্রনাট্য নিয়ে কোনও হিন্দি ছবি তৈরি হবে না। কিন্তু সেই ছবি-ই যখন দারুণ সাড়া ফেলে তখন বলি-প্রযোজকেরা আমার সঙ্গে জিজ্ঞেস করে জানতে চান সেই ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয় আছে কি না? কারণ ওই ছবির স্বত্ব কিনে তাহলে একটা রিমেক বানানো যাবে! এই তো অবস্থা।”
