অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বলিউডের অন্যতম চর্চিত তারকা-দম্পতি। একসঙ্গে কাজের সুবাদে প্রেম। তারপর রূপকথার মতো বিয়ে। ১৮ বছর পরেও তাঁদের সম্পর্ক যেমন অটুট, তেমনই কেরিয়ারও এগিয়ে চলেছে সমান তালে। মাঝেমধ্যে ভেসে ওঠা বিচ্ছেদের গুজবকেও পাত্তা দেন না তাঁরা। ১৪ বছরের মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে শান্ত, স্বাভাবিক জীবন বেছে নিয়েছেন দম্পতি। তবে নেটমাধ্যমে ঘুরতে থাকা এসব খবর কি আরাধ্যার মনে প্রভাব ফেলে?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, “আমি মনে করি না ও (আরাধ্যা) এসব দেখতে বা পড়তে আগ্রহী। আর পড়লেও বিশ্বাস করবে না। ওর মা ওকে শিখিয়েছে, ইন্টারনেটে লেখা সব কিছু সত্যি নয়। আমাদের পরিবারে যেমন আমার বাবা-মা আমার সঙ্গে খোলামেলা ছিলেন, আমরাও তেমনই সৎ। তাই একে অপরকে নিয়ে সন্দেহ বা প্রশ্ন করার পরিস্থিতি আসেই না।”

তিনি আরও জানান, “আরাধ্যার বয়স ১৪, কিন্তু ওর নিজের ফোন নেই। বন্ধুরা যোগাযোগ করতে চাইলে ঐশ্বর্যর ফোনেই কল করে। বহু বছর আগে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” অভিষেক জানান, আরাধ্যার ইন্টারনেট ব্যবহারে বাঁধা নেই। তবে সে মূলত স্কুলের কাজ বা গবেষণার জন্যই তা ব্যবহার করে।

সম্প্রতি নেটমাধ্যমে আরাধ্যার বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট দেখা গিয়েছে। মা ঐশ্বর্যের কথায়, “অনেক সময় দেখি কেউ একটা ওর নামে পেজ তৈরি করেছে। হয়তো ভালবাসা থেকেই করেছে। আরাধ্যার জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য স্নেহবশত। তার জন্য ধন্যবাদ জানাই, কিন্তু ওর নিজের কোনও সোশ্যাল মিডিয়া নেই।”

অনুরাগীদের ভালবাসার জন্য ঐশ্বর্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঠিকই, তবে একই সঙ্গে ভুয়ো প্রোফাইলকে আরাধ্যার প্রোফাইল না ভেবে বসার বার্তাও দিয়েছেন। তিনি জানান, আরাধ্যার নাম বা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে মানেই সেই প্রোফাইলকে অফিসিয়াল বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়।

আরাধ্যাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক আরও যোগ করেন, “ঐশ্বর্য সিনেমা জগতের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে দিয়েছে ওর মধ্যে। ওকে শিখিয়েছে, আমরা যা পেয়েছি, তা দর্শক আর এই শিল্পের দৌলতেই। আরাধ্যার নিজের মতামত আছে, দৃঢ় ভাবনা আছে। ব্যক্তিগত আলাপের সময় সে খুব সুন্দরভাবে নিজের কথা প্রকাশ করে।”

অভিষেককে পরবর্তী দেখা যাবে শাহরুখ খানের ‘কিং’ ছবিতে। শোনা যাচ্ছে, পর্দায় নায়কের প্রতিপক্ষের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। ছবিতে তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করছেন রানি মুখোপাধ্যায়, সুহানা খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন। আগামী বছরই মুক্তি পাবে ছবিটি।