আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর। প্রথমবার ঋণগ্রহীতা, অথচ কোনও সিবিল স্কোর নেই, তাহলেও দেশের কোনও ব্যাঙ্কই ঋণের আবেদন নাকচ করতে পারবে না। লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। তাঁর মতে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) ঋণের জন্য কোনও ন্যূনতম ক্রেডিট স্কোরের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেনি।
সাধারণত সিবিল স্কোরের ভিত্তিতেই ব্যাঙ্কের তরফে কোনও ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া হয় এবং ঋণের উপর সুদের হারও নির্ভর করে। চলতি বছর জানুয়ারিতে আরবিআই নির্দেশিকা উল্লেখ করে উল্লেখ করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেছেন, প্রথমবার ঋণগ্রহীতাদের ঋণের আবেদন কেবলমাত্র ঋণের পূর্ব রেকর্ড বা ইতিহাস না থাকার কারণে প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়। মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন যে, ভারতের নিয়ন্ত্রণমুক্ত ঋণ পরিবেশে, ঋণদাতারা বোর্ড-অনুমোদিত নীতি এবং বিস্তৃত নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকাগুলির উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট তথ্য রিপোর্ট কোনও ঋণ মঞ্জুরের আগে বিবেচ্য বিষয়গুলির মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় মাত্র।
সিবিল স্কোর কী?
সিবিল স্কোর হল আসলে একটি তিন অঙ্কের সংখ্যা যা ৩০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে থাকে। এই স্কোর প্রমাণ করে যে, আপনার ঋণ ইতিহাস কত ভাল। ঋণদাতারা প্রায়ই গ্রাহকদের ঋণ মঞ্জুরের আগে তাদের সিবিল স্কোর যাচাই করে নেন। সিবিল স্কোর কম থাকলে সেই ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়ে যায়। অন্যদিকে সময়মত ইএমআই ও ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করে ক্রেডিট ইউটিলিটি ৩০-৪০ শতাংশের নীচে রেখে সুরক্ষিত ও অসুরক্ষিত ঋণের একটি সুস্থ মিশ্রণ বজায় রাখতে পারলে আপনার সিবিল স্কোর উন্নত হতে পারে।
ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (ইন্ডিয়া) লিমিটেড (CIBIL)-এর তৈরি, এটি ব্যক্তিগত, সোনা, বাড়ি এবং গাড়ির ঋণের মতো পণ্যগুলিতে ঋণের যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।
ক্রেডিট রিপোর্ট পাওয়ার খরচ?
অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী উল্লেখ করেছেন যে, ক্রেডিট রিপোর্ট অ্যাক্সেস করার জন্য যে অর্থ নেওয়া হয় তা আরবিআই দ্বারা সীমাবদ্ধ। ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানিগুলি (সিআইসি) একজন ব্যক্তির নিজস্ব ক্রেডিট তথ্য প্রদানের জন্য ১০০টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। এর বাইরে যে কোনও চার্জ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
এছাড়াও, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জারি করা আরবিআই সার্কুলারের অধীনে, প্রতিটি সিআইসি-কে প্রতি বছর ইলেকট্রনিক ফর্ম্যাটে একটি সম্পূর্ণ ক্রেডিট রিপোর্ট, যার মধ্যে ক্রেডিট স্কোর রয়েছে, কোম্পানির কাছে থাকা ব্যক্তিদের ইলেকট্রনিক ফর্ম্যাটে প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন- ফাস্ট্যাগ বার্ষিক পাস: এক বছরে ২০০ ট্রিপ শেষ না হলে বাকি টাকা অ্যাডজাস্ট হয়? জেনে নিন
আরও পড়ুন- সেপ্টেম্বরে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দুর্গাপুজোর মাসে বাংলায় কবে কবে? দেখুন তালিকা
