আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিউচুয়াল ফান্ডে যদি সঠিকভাবে এসআইপি করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি নিজের ভবিষ্যতকে গড়তে পারেন। তবে এবার আপনার জেনে নেওয়া দরকার প্রতিদিনের ১০০ টাকার এসআইপি নাকি প্রতিদিনের ৫০০ টাকার এসআইপি কোনটি থেকে আপনি বেশি লাভের টাকা দেখতে পারেন।


প্রতিদিন যদি আপনি ১৪৭ টাকা করে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ২০ বছরে পাবেন ৪১ লাখ ২০ হাজার ৫০৭ টাকা। যদি মাসে ৪৫০০ টাকা করে রাখতে পারেন তাহলে সেখানে আপনি পাবেন ৪১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৫৮ টাকা। যদি ৫৪০০০ টাকা বছরে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখান থেকে পাবেন ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ টাকা। প্রতি ক্ষেত্রেই আপনি ১২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন।


এবার দেখে নিন যদি আপনি প্রতিদিন ২০০ টাকা করে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ১২ শতাংশ সুদ হিসেব করলে ১০ বছরে পাবেন ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮০ টাকা। ২০ বছরে পাবেন ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৩২৩ টাকা। ৩০ বছরে পাবেন ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ টাকা। ৪০ বছরে পাবেন ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার ২৯১ টাকা।


যদি আপনি প্রতিদিন ১০০ টাকা করে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ৩০ বছরে পাবেন ৯৩ লাখ ২৮ হাজার ৬২৯ টাকা। যদি রোজ ৫০০ টাকা করে এসআইপিতে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেখানে ১৫ বছরে পাবেন ৭২ লাখ ৫ হাজার ১৭০ টাকা।


মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 


মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক। 

আরও পড়ুন:  একফোঁটা রক্ত করে দেবে কামাল, যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন গবেষকরা


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।

 


তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।