আজকাল ওয়েবডেস্ক:  অবসর পরিকল্পনা শুরু করতে কখনও দেরি হয় না। বয়স ৩০, ৪০ কিংবা ৫০— যেকোনও বয়স থেকেই আপনি অবসর-পরবর্তী তহবিল গড়তে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং অবসর জীবনের জন্য অর্থ সঞ্চয় শুরু করা। এর ফলে বয়সকালে আপনার দৈনন্দিন খরচের জন্য কাউকে নির্ভর করতে হবে না।


এই প্রতিবেদনে আমরা হিসাব করব— কীভাবে একটি মিউচুয়াল ফান্ডে ১৭ লাখ টাকা লাম্প সাম বিনিয়োগ করে ১ কোটি, ২ কোটি এবং ৩ কোটির অবসরকালীন তহবিল তৈরি করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে এখানে যে রিটার্নের কথা বলা হয়েছে তা অনুমাননির্ভর। প্রকৃত রিটার্ন বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কম-বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন: জয়েন্টের ফলপ্রকাশে রইল না বাধা, শীর্ষ আদালতে স্বস্তি রাজ্যের


আমরা সব বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বার্ষিক ১২% প্রত্যাশিত রিটার্ন ধরে নিচ্ছি।
১ কোটি অবসর তহবিল তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সময় লাগবে কমপক্ষে  ১৬ বছর। মোট বিনিয়োগ করতে হবে ১৭ লাখ টাকা। সম্ভাব্য মূলধনী মুনাফা থাকবে ৮৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৯ টাকা। আনুমানিক মোট রিটার্ন হবে ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৬৯ টাকা। 


২ কোটি অবসর তহবিল তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সময় লেগবে কমপক্ষে  ২২ বছর। মোট বিনিয়োগ হবে ১৭ লাখ টাকা। সম্ভাব্য মূলধনী মুনাফা হবে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২৭ টাকা। আনুমানিক মোট রিটার্ন আসবে ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ৫২৭ টাকা। 


৩ কোটি অবসর তহবিল তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সময় লাগবে কমপক্ষে ২৬ বছর। মোট বিনিয়োগ করা হবে ১৭ লাখ। সম্ভাব্য মূলধনী মুনাফা হবে ৩ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩ টাকা। আনুমানিক মোট রিটার্ন হবে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩ টাকা। 

 

অবসর জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিকল্পনা শুরু করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কেবল মূলধন বাড়ায় না, বরং বয়সের শেষভাগে আপনাকে স্বাধীন জীবনযাপনেও সহায়তা করে।


মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।


মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 


মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক।