আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি নিজের টাকা সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাহলে সেখান থেকে আপনার কাছে সেরা অপশন হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড। যদি আপনি নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এই মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
এইচডিএফসি মিডক্যাপ ফান্ড শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। এখানে রিটার্ন পেতে পারেন ২১ শতাংশ পর্যন্ত। এখানে মোট অ্যাসেট রয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকার। রেশিও রয়েছে ০.৭৫ শতাংশ।
এইচডিএফসি ফোকাসড ফান্ড শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। এখানে রিটার্ন পেতে পারেন ১৬.১২ শতাংশ। এখানে মোট অ্যাসেট রয়েছে ২০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। রেশিও রয়েছে ০.৬০ শতাংশ।
এইচডিএফসি ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সেখানে রিটার্ন পেতে পারেন ১৭.২৫ শতাংশ। এখানে মোট অ্যাসেট রয়েছে ৭৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। রেশিও রয়েছে ০.৭২ শতাংশ।
এইচডিএফসি রিটারমেন্ট সেভিংস ফান্ড ইক্যুইটি ফান্ড শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। সেখানে রিটার্ন পেতে পারেন ২০.৬৮ শতাংশ। এখানে মোট অ্যাসেট রয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। রেশিও রয়েছে ০.৭৪ শতাংশ।
এইচডিএফসি ইএলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। এখানে রিটার্ন পেতে পারেন ১৫.৭৪ শতাংশ। এখানে মোট অ্যাসেট রয়েছে ১৬ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। রেশিও রয়েছে ১.০৭ শতাংশ।
মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।
আরও পড়ুন: আপনার শিশু কী অনেকক্ষণ টয়লেট চেপে রাখে, হতে পারে এই মারাত্বক রোগের শিকার
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক।
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন - ইক্যুইটি ফান্ড (Equity fund), Debt Fund, এবং হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid fund)। এই ফান্ডগুলি মূলত স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। এই ফান্ডগুলি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করে, যা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন প্রদান করে।এই ফান্ডগুলি ইক্যুইটি এবং ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে, যা ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই আপনি আগে থেকে সমস্ত তথ্য ভাল করে দেখে নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি বিনিয়োগ করতে গিয়ে আপনার কোনও সমস্যা হয় বা যদি আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েন তাহলে তার দায় আজকাল ডিজিটাল নেবে না।