আজকাল ওয়েবডেস্ক: হ্যালো স্যার, নামমাত্র সুদে বিরাট টাকা লোন পাবেন। আবেদন করুন। অচেনা নম্বর থেকে এমনই প্রলোভন দিয়ে প্রতারকরা ব্যাংকের তথ্য জেনে নিত। তারপর রাতারাতি অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যাচ্ছিল। অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসত মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
কীভাবে পাতা হত প্রতারণার ফাঁদ? হাবড়ার এসডিপিও প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, ব্যাংকে মোটা টাকা লেনদেন করেন, প্রতারকরা প্রথমে তেমন ব্যক্তিদের সন্ধান করত। তারপর অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের মোবাইল ফোনে কল যেত। প্রথমেই নামমাত্র সুদে মোটা টাকা লোন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হত। আবার কাউকে সামান্য টাকা বিনিয়োগ করে গোষ্ঠী লোনেরও প্রলোভন দেওয়া হত। প্রতারকদের চালাকি ধরতে না পেরে অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন। তারপর ব্যাংক ডিটেইলস পাঠাতে বলা হত। সেখান থেকেই সম্ভাব্য শিকারের অ্যাকাউন্টে কত টাকা মজুত আছে, প্রতারকরা তা জেনে যেত। লোন নিতে আগ্রহী ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জনের পর কৌশলে জেনে নিত এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ডও। তারপর রাতারাতি সেই অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা লোপাট করে দেওয়া হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের এক ব্যক্তির ব্যাংকের তথ্য জেনে নিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বহু টাকা লোপাট করা হয়। প্রতারিত ব্যক্তি এদিন অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ প্রথমে অশোকনগরের বাসিন্দা আফ্রিদি মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পুলিশ কল্যাণীর গয়েশপুরের বাসিন্দা সাদেক মণ্ডল ও শাহবুদ্দিন আনসারি নামে আরও দুই যুবককে পাকড়াও করে। ধৃত তিনজন মিলে প্রতারণা চক্রটি চালাচ্ছিল। তবে পুলিশের অনুমান, ওই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশ প্রতারণা চক্রের অন্য শাগরেদদের নাগাল পেতে চায়। ধৃত তিন যুবকের কাছ থেকে পুলিশ বিভিন্ন ব্যাংকের বেশ কিছু পাস বই, কয়েকটি এটিএম কার্ড ও চেক বই উদ্ধার করেছে। ধৃতরা এখনও পর্যন্ত কতজনকে প্রতারণা করেছে, পুলিশ সে সব তথ্য সংগ্রহ করছে।
