আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্দেমাতরম এমন এক গান যে গান একসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল সহস্র দেশবাসীকে। বিপ্লবীরাও এই গান গাইতে গাইতে ইংরেজদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জির সেই লেখা বন্দেমাতারাম গান এবার দেড়’শ বছর পূরণ করছে। সেই উপলক্ষেই অনুষ্ঠিত হল ব্যান্ডেল ম্যারাথন ২০২৫। 

ব্যান্ডেল মোড় থেকে শুরু হয় ম্যারাথন দৌড়। যা শরৎসরণী মোড় থেকে থেকে বালির মোড় হয়ে ব্যান্ডেল মোড়ে শেষ হয়। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনায় এই দৌড় ও নানা সামাজিক কর্মসূচি পালিত হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন, চুড়ার বিধায়কঅসিত মজুমদার, প্রাক্তন ফুটবলার বরুণ সেনগুপ্ত, অভিষেক কুমার মণ্ডল। পরে দুস্থ পরিবারের সদস্যদের হাতে শীতবস্ত্র বিতরণ বিতরণ করা হয়। হয় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও।

বন্দেমাতরম ভবনে বসে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জি বন্দেমাতরম গানটি লিখেছিলেন।  বঙ্কিমচন্দ্র যখন হুগলিতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন,সে সময় চুঁচুড়া জোড়াঘাটে বন্দেমাতরম ভবনে থাকতেন। তার জন্মস্থান নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় তিনি বন্দেমাতরম রচনা করেছিলেন ১৮৭৫ সালে। জোড়াঘাটের বাড়িতে আনন্দমঠ উপন্যাসে সেই লেখা তিনি ভবানী পাঠকের মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন দেশমাতৃকার বন্দনায়। সেই সৃষ্টিতে সুর আরোপিত হয়েছিল আরওকিছুদিন পর জোড়াঘাটের বাড়িতেই। সেই গীত ভারতের রাষ্ট্র গীতে পরিনত হয়। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বন্দেমাতরম দেশবাসীকে উদ্বেলিত করেছিল। সেই গীত রচনার দেরশ বছর পূর্ণহচ্ছে এবছর। একটি সূত্র মতে ২০ ডিসেম্বর ১৮৭৫ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম বন্দেমাতরম ছাপা হয়েছিল।