আজকাল ওয়েবডেস্ক: পর্যটনের 'অফ সিজনে' মুর্শিদাবাদ থানার অন্তর্গত লালবাগ শহরের একটি নামী হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা। বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের মতিঝিল রোডে অবস্থিত ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ হোটেল ম্যানেজার-সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাত জন মহিলাকে। 

এসডিপিও (লালবাগ) আলোককার রাকেশ মহাদেব জানান, ''বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল মতিঝিল রোড সংলগ্ন একটি নামী হোটেলে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালায়। ওই হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাত জন মহিলাকে। উদ্ধার হওয়া মহিলাদেরকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো, আটকে রাখা-সহ একাধিক অভিযোগে ওই হোটেল ম্যানেজার রণেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি-সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
 
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে লালবাগ শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বড় হোটেলে গড়ে উঠেছে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে পর্যটনের 'অফ সিজনে' যখন হাজারদুয়ারি ঘুরতে আসা পর্যটকের সংখ্যা কমে যায় সেই সময় হোটেল ঘরগুলো বেশিরভাগই খালি পড়ে থাকে। 

লালবাগ শহরের হোটেলের ঘরগুলো খালি থাকার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু হোটেল মালিক এবং ম্যানেজার সেখানে বাইরের রাজ্য এবং জেলা থেকে মহিলাদেরকে নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কিছুদিন ধরে সরব হয়েছেন। 

মুর্শিদাবাদ শহরের অত্যন্ত পরিচিত এলাকা মতিঝিল রোডের ঠিক কাছে অবস্থিত ওই হোটেলে গত বেশ কিছুদিন ধরে কয়েকজন মহিলাকে জোর করে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ যায়। 

এসডিপিও (লালবাগ) বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হোটেলের ম্যানেজার রণেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি স্বীকার করেছেন তিনি এবং হোটেল মালিক মিলে যৌথভাবে ওই হোটেলে দেহ ব্যবসার চক্র চালাচ্ছিলেন।' যদিও হোটেলে পুলিশের অভিযান হওয়ার পর থেকে হোটেল মালিক পলাতক।

প্রসঙ্গত, গত শনিবারও লালবাগ শহরের একটি হোটেলে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ছয় জন মহিলাকে উদ্ধার করে। দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চার জন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,  আগামীদিনেও এমন অভিযান চালানো হবে।