আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। প্রসূতির মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। হেনস্থা করা হয় নার্সিংহোমের কয়েকজন কর্মীকেও। পরে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

অভিযোগ উঠেছে, লালবাগের ওই বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ  প্রসূতির মৃত্যুর পরও পরিবারের লোকেদেরকে সেই ঘটনার কথা জানায়নি।  পরিবারের লোকেদেরকে 'ভুল তথ্য' দিয়ে মৃত অবস্থাতেই ওই প্রসূতিকে বহরমপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তবে বহরমপুরের চিকিৎসকরা প্রসূতির পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দিলে তাঁরা দেহ নিয়ে লালবাগ শহরে ফিরে এসে ওই নার্সিংহোমের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।  সেই সময় কিছু  উত্তেজিত জনতা ওই নার্সিংহোমের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।  

মুর্শিদাবাদের হাড়িভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নাসিমা খাতুন নামে বছর বাইশের ওই মহিলা একদিন আগে লালবাগের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১  টা নাগাদ সিজার করে ওই মহিলার সন্তানের জন্ম হয়।
 
আলিয়ার বিবি নামে মৃতার পরিবারের এক সদস্যা জানান, 'বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নাসিমার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। আমাদের সঙ্গে সুস্থ অবস্থাতেই কথা বলেছে।  রাত বাড়তেই হঠাৎ করে তার খিঁচুনি এবং অন্যান্য কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।'
 
তিনি বলেন, 'গোটা বিষয়টি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা প্রথমে গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি। পরে নাসিমার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুরের 'রেফার' করে দেন ডাক্তাররা।'
 
ওই মহিলা বলেন,' বহরমপুরের একটি হাসপাতালে নাসিমাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আমাদেরকে জানান বেশ কিছুক্ষণ আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সেকারণে বহরমপুরের হাসপাতালে নাসিমার কোনওরকম চিকিৎসা করানোর  সুযোগ আমরা পাইনি ।'