আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়দিন মানেই আমজনতার কাছে একটি ছুটির দিন। উৎসবের মেজাজেই ছুটিতে কাটে এই দিনটা।  ছুটি কাটাতে অনেকেই ছোটেন নানা জায়গায়।

যার মধ্যে অন্যতম হল আলিপুর চিড়িয়াখানা। যা পরিবার পরিজন বা বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে ছুটি কাটানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা।

স্বাভাবিকভাবেই বৃহস্পতিবার বেলা যত গড়িয়েছে ততই ধীরে ধীরে ভিড় বেরেছে চিড়িয়াখানায়। কিন্তু বেলা শেষে যখন পর্যটকের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে তখন হতাশ হতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

কারণ, গতবার এই দিনে যত ভিড় হয়েছিল তার ধারেকাছ দিয়েও যায়নি এবছরের ২৫ ডিসেম্বরের ভিড়। এবছর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন ৪৪,৬৫৪ জন দর্শক।

গতবারের ভিড় প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সৌমেন মণ্ডল জানিয়েছেন, আগেরবার ২৫ ডিসেম্বর চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন ৭০, ০০০-এর কাছাকাছি দর্শক। 

তাহলে এবছর হঠাৎ করে দর্শক সংখ্যা কেন কমে গেল? অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বলেন, "বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে এদিন চিড়িয়াখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং সেটা আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট-এ আমরা জানিয়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু বহু মানুষ গুগল দিয়ে সার্চ করেন। সেখানে গুগল ভুলবশত দেখিয়ে দিয়েছে চিড়িয়াখানা এদিন বন্ধ থাকবে। এটা যারা দেখেছেন তাঁরা আর চিড়িয়াখানার দিকে পা বাড়াননি। ফলে এই বিভ্রাটের কারণে চিড়িয়াখানায় এদিন ভিড় কম হয়েছে বলেই আমাদের মনে হয়েছে। অথচ আমাদের ওয়েবসাইট যদি কেউ সার্চ করতেন তাহলেই কিন্তু এই বিভ্রান্তি দূর হয়ে যেত।" 

এদিন একদিকে যেমন বাঘ, সিংহের খাঁচার কাছে ভিড় হয়েছে তেমনি ভিড় হয়েছে উটপাখি বা ভাল্লুকের খাঁচার সামনে। বাঘ এবং সিংহ এদিন ঘরের থেকে বাইরে এসে বেশ কিছুক্ষণ বাইরে বসে বা হাঁটাহাঁটি করেছে বলে জানা যায়। স্বাভাবিকভাবেই আশ মিটেছে দর্শকদের।

শিম্পাঞ্জি 'বাবু'র নানা কায়দা দেখতে সেখানেও ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরা। ভিড় হয়েছিল হরিণ, জিরাফ-সহ অন্যান্য প্রাণীদের খাঁচার সামনেও।

এদিনের টিকিট বিক্রির প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি অফলাইন বা চিড়িয়াখানায় উপস্থিত হয়েও বহু দর্শক টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করেছেন।