মিল্টন সেন, হুগলি: মাঠ সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্য্যায়নের পাশাপাশি খোলা বাতাসে প্রবীণ নাগরিকদের বসার অভিনব উদ্যোগ বিধায়কের। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীন ফেন্সিং ঘেরা মাঠের পাশে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছিল দোকান। আর তার উপর সেই দোকান সংলগ্ন কিছুটা জায়গায় প্লাস্টিকের ছাউনিতে স্পষ্টতই বাড়ছিল দৃশ্য দূষণ। একইসঙ্গে শহরের প্রবীণ নাগরিকরা দু দন্ড বসবেন এমন জায়গা আর মিলছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে পরতেই তৎপর হন বিধায়ক। ছাউনি খোলার ব্যবস্থা করেন। সেই এলাকায় চেয়ার বসানোর ব্যাবস্থা করেন। চুঁচুড়ায় তিনটে মাঠ। সেখানে নিয়মিত জেলা ও রাজ্য স্তরের ক্রিকেট ফুটবল খেলা হয়। অনেক মানুষ আসেন খেলা দেখতে। এক টানা প্লাস্টিকের ছাউনি থাকায় তাদের কাছেও শহরের সুনাম নষ্ট হচ্ছিল। শনিবার বিধায়ক মাঠের দোকান ছাউনিগুলোর কী অবস্থা তা সরেজমিন করেন। পুরসভার পূর্ত দপ্তরের সিআইসিকে নিয়ে মাপজোক করেন। ফেন্সিং এর পাশে বসার যে ধাপি করা হয়েছিল তার উচ্চতা বেশি হওয়ায় প্রবীণ নাগরিকদের বসতে অসুবিধা হয়। তাঁদের বসার জন্য নীচু চেয়ার রাখার কথা বলেন। এদিন বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, মাঠের পাশ দোকানে ভরে গিয়েছিল। দোকানের সঙ্গে থাকা প্লাস্টিকের ছাউনি দৃশ্য দূষণ ঘটাচ্ছিল। তিনি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চালানোর বিরুদ্ধে নন। সবাই দোকান চালান তবে ঠেলা গাড়িতে। তিনি দোকানদারদের বলেছিলেন প্লাস্টিকের ছাউনি খুলে ফেলতে। তাঁরা সেটা করেছেন। সেই ফাঁকা জায়গায় বিধায়ক তহবিলের টাকায় মাঠের চারপাশে আপাতত ৩০ টি চেয়ার পাতা হবে। সংলগ্ন এলাকায় থাকা ধাপি গুলিকে নীল সাদা টাইলস বসিয়ে সৌন্দর্যায়ন করা হবে।
ছবি: পার্থ রাহা
ছবি: পার্থ রাহা
