মিল্টন সেন: চন্দননগরে শুরু হয়ে গেল আলোর উৎসব। শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর চতুর্থীতে কলকাতার পোস্তা থেকে চন্দননগরের ৬টি জগদ্বাত্রী পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ব্রাহ্মণপাড়া সার্বজনীন, দৈবকপাড়া, উর্দিবাজার, বারাসাত ব্যানার্জিপাড়া, দিনেমারডাঙা তালপুকুরধার এবং বোরো সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। ব্রাহ্মণপাড়া সার্বজনীন পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুলিশ কমিশনার অমিত পি যাভালগী, জেলা শাসক মুক্তা আর্য্য, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল প্রমুখ। বড় এলসিডি স্ক্রিনে তুলে ধরা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ। পাশাপশি, চন্দননগর স্ট্যান্ড থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের।


বেলুন উড়িয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এদিন পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এবছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। ফেরিঘাট, রেল স্টেশন এবং সড়ক পথে বহু দর্শনার্থী আসবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কমিশনারেট ছাড়াও বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একাধিক সেক্টরে বিভক্ত করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিক এবং ইন্সপেক্টার পদমর্যাদার ৩৫ জন আধিকারিক। মোতায়েন করা থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী এবং মহিলা পুলিশ কর্মী। সুইপিং পার্টি থাকবে ৫০ টি বাইকে।


নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বড় রাস্তা পুজো মণ্ডপ এবং সংলগ্ন এলাকায় পাঁচশোর বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নজরদারি চালানো হবে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে। সপ্তমীর দিন শহরের প্রবীণ নাগরিক, অনাথ আশ্রমের আবাসিক এবং প্রতিবন্ধীদের ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, এবারে বহু সংখ্যক বিদেশি পর্যটক আসছেন চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে। পৃথিবীর সব থেকে বড় আলোর উৎসব চাক্ষুষ করতে তাঁরা ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন। রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে চন্দননগরের আলোক শিল্প যাতে আরও প্রচার পায় তাই আলো হাব তৈরি হয়েছে।

ছবি: পার্থ রাহা