আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধান দেখা দিলেই তাদের তৎপরতা। জমিতে ধান এলেই জমিমুখী হাতির দল। তাতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। বিপুল ক্ষতির শঙ্কা ঘুম কেড়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাখাম্বা ও মল্লিকশোভা এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রায় প্রতি রাতেই ৫০ থেকে ৭০টি হাতির দলের মধ্যে থেকে অন্তত ১০-১২টি হাতি ঐ এলাকায় ঢুকে পড়ছে। কয়েক হেক্টর ধান চাষের জমিও ক্ষতির মুখে পড়েছে।মূলত ধানের শিসে কচি ফলন খেতেই এলাকায় ঢুকছে বলে অনুমান।
কৃষকদের দাবি লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে ধান পাকলে সমস্যা আরো বাড়বে, আশঙ্কা বাড়ছে দিনে দিনে। এলাকায় চাষবাদ করে সংসার চালানো কৃষকদের দাবি বনদপ্তরের ক্ষতিপূরণের টাকাও সঠিক ভাবে পাওয়া যায় না এবং পেলেও তা সময় সাপেক্ষ। এদিকে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে রাতে হাতি তাড়াতে গঠন করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। তারাই আপাতত ফসল রক্ষার্থে ধানের জমিতে বাজি পটকা ফাটিয়ে, সাইরেন বাজিয়ে বা আলো জালিয়ে হাতি তাড়াচ্ছেন।
কালাখাম্বার মিঠু রায় বলেন, একটানা পাঁচ দিন থেকে ধান চাষের জমিতে ঢুকে হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফসল নষ্ট করে তছনছ করে দিয়েছে। কিন্তু হাতির দলকে আটকানো যাচ্ছে না। এমনকি রাতে বনদপ্তরের কর্মীদের ডেকেও সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না।
তবে এতে বনকর্মীদের যুক্তি, হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করা যথেষ্ট চাপের। কারণ, হাতি কখন জঙ্গলে থাকবে এবং কোন দিকে যাবে তা হাতির দলের সদস্যরাই ঠিক করে। গতিবিধি যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায় না, তেমনই লোকালয়ে বেরিয়ে গেলে ড্রাইভ করে জঙ্গলমুখী করা ছাড়া উপায় থাকে না। বনদপ্তরকে সঠিক সময়ে খবর দিলে ড্রাইভ করতেও সুবিধা হয়। এর মধ্যে আবার রাতের অন্ধকারে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর দিনের আলো ফুটে গেলে হাতির দলকে ড্রাইভ করে জঙ্গলে ফেরাতেও চাপের হয়ে দাঁড়ায় বলেও দাবী করেছেন বনকর্মীরা।
সাকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শ্যামল রায় বলছেন, হাতির হানায় ধানক্ষেতে প্রচুর পরিমানে ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতিপূরণ দিলেও কৃষকদের ফসলের টাকা উঠবে না। হাতি লোকালয়ে ধানক্ষেতের জমির দিকে আসলেই বনদপ্তরকে জানানো হয়। কিন্তু ক্ষতি করে হাতির দল জঙ্গলে ফিরলেও অনেক সময়ই বনকর্মীরা আসে না। বর্তমানে রাত জেগে ওয়াচ টাওয়ারে জেগে রাত কাটাচ্ছে। এতে প্রানের আশঙ্কাও যেমন থাকে তেমনি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে কৃষকরা। এর উপর বনদপ্তরের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
