আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানার যমুনানগর থেকে এক যুবতীর মাথা কাটা দেহ উদ্ধার। ঘটনার জেরে এলাকায় চরম শোরগোল। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক ফুরকান ওরফে বিলালকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দু'বছর ধরে ওই যুবতীর সঙ্গে ফুরকানের প্রেম ছিল। কিন্তু, ফুরকানের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হওয়ার পর সে সম্পর্ক ভেঙে দেয়। এরপরই নাকি যুবতী ফুরকানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছে , নিজের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ভয়ে ফুরকান যুবতীকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ৬ ডিসেম্বর সে যুবতীকে নিজের গাড়িতে করে ঘুরতে নিয়ে যায়। এর পরে তাকে খুন করে বাহাদুরগড়ের একটি ফাঁকা জায়গায় দেহটি ফেলে দেয়। যাতে কেউ তাকে শনাক্ত করতে না পারে, তার জন্য অভিযুক্ত যুবতীর মাথা কেটে নেয়। শুধু তাই নয়, সমস্ত পোশাক খুলে ফেলে সে।

ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা কমলদীপ গোয়েল জানিয়েছেন, "এই ঘটনার তদন্তের জন্য আমরা একটি বিশেষ দল তৈরি করেছিলাম। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা অভিযুক্তকে অবশেষে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি।" পুলিশ ফুরকানকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তদন্ত এখনও চলছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে যুবতীর জামাকাপড় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও পাওয়া গিয়েছে। এই খুনটি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, তারা এই মামলায় কঠোর শাস্তি দেবে।

অন্যদিকে, ত্রিপুরায় হাড়হিম কাণ্ড। প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়েছে। সহ্য করতে না পেরে প্রেমিকাকে গুলি করে হত্যা করে প্রেমিক৷ গোমতী জেলায় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এক ২৬ বছর বয়সি যুবক প্রথমে তাঁর প্রেমিকাকে গুলি করে হত্যা করে, এরপর সেই একই অস্ত্র দিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়। পুলিশ বৃহস্পতিবার এই খবরটি জানিয়েছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক-যুবতী দু'জনেরই পরিবার তাঁদের বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক করে ফেলেছিল। সম্ভবত এই কারণেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন দু'জন। উদয়পুর মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) দেবাঞ্জলি রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুলি লাগা অবস্থায় দু'জনের মৃতদেহ বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য আগরতলায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে এসডিপিও জানান, "বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ হোলাশেট এলাকায় গুলি চলার খবর পাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ দল গিয়ে দেখে, একটি গাড়ির ভেতরে মহিলাটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর তাঁর সঙ্গী তখনও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।" এরপর পুলিশের দল তড়িঘড়ি যুবককে স্থানীয় গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশ গাড়ি থেকে ২০ মিটার দূরে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।

এসডিপিও রায় সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেছেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যুবকটি প্রথমে তাঁর প্রেমিকাকে খুন করেন, তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা এখানে অন্য কারও হাত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছি। কিন্তু এটা প্রায় নিশ্চিত যে প্রেমের সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।"