অতীশ সেন: জলদাপাড়ায় গণ্ডার শিকার হতে পারে এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বনদপ্তর। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সীমান্ত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুক্রবারের অভিযানে যানবাহন পরীক্ষা, ডগ স্কোয়ার্ডের সাহায্যে জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং পুরোনো শিকারিদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হয়। পাশাপাশি তোর্সা নদীর চর ও পাড়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বনবিভাগের পক্ষ থেকে গণ্ডারদের বিচরণক্ষেত্রে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় বন আধিকারিক পারভিন কাশোয়ান জানিয়েছেন, ‘চোরাশিকার প্রতিরোধে আমাদের নজরদারি চলমান রয়েছে। সমস্ত টিম সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত’। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় হোটেল ও হোমস্টের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে’। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, চোরাশিকারির একটি দল জলদাপাড়ায় ঢুকে গণ্ডার শিকার করতে পারে। সেই কারণে বনকর্তারা সতর্ক হয়ে উঠেছেন এবং সমস্ত রেঞ্জ অফিসার ও বনকর্মীদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি চালাতে কুনকি হাতি, ডগ স্কোয়াড এবং পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে খবর, ২০২২ সালের মার্চ মাসে গন্ডারের শুমারির তথ্য অনুযায়ী জলদাপাড়ায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ২৯২টি। বনকর্তাদের ধারণা, ২০২৪ সালে গন্ডারের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২০ এ পৌঁছেছে। সর্বশেষ গণ্ডার শিকার হয় ২০২১ সালের ৪ঠা এপ্রিল। সেই ঘটনায় চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বিটের একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি গণ্ডার শিকার হয়েছিল। ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বন বিভাগ সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছে।
