আজকাল ওয়েবডেস্ক: পড়াশোনার ফাঁকেই চলত গল্পগুজব। বন্ধুত্ব থেকেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে স্বামী, দুই সন্তানকে বাড়ি রেখেই সন্তানদের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন এক গৃহবধূ। বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতীর স্বামী। সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এক্স হ্যান্ডেলে সম্প্রতি একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর কেচ্ছা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাঁর হাতেই ছিল স্ত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি, কয়েকটি নথিপত্র। ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার নাম মণীশ তিওয়ারি। আমার স্ত্রীর নাম, রোশনি রানি। শুভম কুমার মেহতা নামের এক গৃহশিক্ষকের সঙ্গে আমার স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। শুভম আমাদের বাড়িতে সন্তানদের পড়াতে আসতেন। তাঁর সঙ্গেই পালিয়ে গেছেন আমার স্ত্রী। আমি আর তাঁকে ফিরে পেতে চাই না।'
মণীশ তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন, টিউশনের অজুহাতে ঘনঘন বাড়িতে যাতায়াত ছিল শুভমের। স্ত্রীর আচরণে আগেই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। দিন কয়েক আগেই হঠাৎ রোশনি বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। এর কিছুদিন পরেই জানতে পারেন, শুভমের সঙ্গেই তিনি পালিয়ে গেছেন। এমনকী শুভমের সঙ্গে রোশনির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখিয়েছেন মণীশ। পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই, ছিঃ ছিক্কার নেটিজেনদের। দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
গত নভেম্বর মাসের শেষে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছিল। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। তিন সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গৃহবধূর। তার আগেই নৃশংসভাবে খুন করেন স্বামীকে। খাবারে বিষ মিশিয়ে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় তাঁকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাটের ভদোদরায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, রবিবার ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পাঁচ দিন আগে বাড়িতেই স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। শহরের তান্ডালজা এলাকায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃত তরুণীর নাম, গুলবানু বানজারা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এর আগে গুলবানু জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী ৩২ বছরের ইরশাদ বানজারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু দেহটি কবর দেওয়ার পরেই গুলবানুর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। স্বামীর দেহ কবর দেওয়ার দিন সারাদিন ফোনে ব্যস্ত ছিলেন তরুণী। এরপর ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর জানা গেছে, অচেনা এক নম্বরে ফোন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গুলবানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রেমিক ও আরও এক সহযোগী বর্তমানে পলাতক। খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ নভেম্বর। সেদিন ইরশাদের খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। খাবার খাওয়ার পরেই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেদিন গভীর রাতে বাড়িতে চুপিচুপি ঢুকে গুলবানুর প্রেমিক ও এক সহযোগী ইরশাদের গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেন। এরপর গুলবানুর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয়।
পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হতেই সোমবার ইরশাদের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, ছ'বছর আগে ইরশাদ ও গুলবানুর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ জেরায় গুলবানু জানিয়েছিলেন, গত কয়েক বছর ধরে তৌসিফ নামের ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তার আগে পরিকল্পনামাফিক ইরশাদকে খুন করেন।
