আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে অফিসের কাজের চাপ, অন্যদিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা। দুইয়ের চাপে অতিষ্ট কমবেশি সকলেই। কিন্তু অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনে ব্যালেন্স করার মতো কঠিন কাজ খুব কম মানুষই করতে পারেন। বাগদানের অনুষ্ঠান শুনেও ছুটি দেয়নি অফিস। এদিকে বাগদানের অনুষ্ঠান না পিছিয়ে, নির্দিষ্ট দিনেই নতুন পথচলা শুরু করল এক যুগল। 

কীভাবে? ভার্চুয়ালি বাগদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। পাত্রী কর্ণাটকের বাসিন্দা। পাত্র থাকেন কানাডায়। অফিসের ছুটি না পাওয়ায় অনলাইনেই বাগদানের অনুষ্ঠান সারেন। পাত্র ও পাত্রী এবং তাঁদের দুই পরিবারের সকল সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন ভিডিও কলে। আত্মীয়দের উপস্থিতিতেই নতুন পথচলা শুরু হয় তাঁদের। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সুহাস নামের ওই পাত্র আদতে বেঙ্গালুরু সাউথের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই থাকেন কানাডায়। অন্যদিকে পাত্রী মেঘা কর্ণাটকের উড়ুপির বাসিন্দা। কাজের চাপে ছুটি পাননি সুহাস। ছুটি না পাওয়ায় বেঙ্গালুরুতে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাগদানের অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেননি। নির্ধারিত দিনেই অনলাইনে আংটি বদলের সিদ্ধান্ত নেয় যুগল। 

জানা গেছে, উড়ুপি জেলায় সরস্বতী ভবনেই বাগদানের অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। যেখানেই জমকালো সাজে উপস্থিত ছিলেন মেঘা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁর আত্মীয়রা। অন্যদিকে ভিডিও কলে উপস্থিত ছিলেন সুহাস, তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ভারত ও কানাডার সময়সূচি এক নয়। ভারতে যখন রাত ১২টা, কানাডায় তখন বেলা ১২টা। শত বাধা সত্ত্বেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বাগদানের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হন সকলে। 

জানা গেছে, ভিডিও কলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে আংটি বদল করেন মেঘা ও সুহাস। দুই পরিবারের সদস্যরা যুগলকে আশীর্বাদে ভরিয়ে দেন। বাগদানের পর মিষ্টিমুখ করতেও দেখা গেছে তাঁদের। 

অন্যদিকে চলতি মাসের শুরুতেই দেশ জুড়ে ব্যাহত হয়েছিল ইন্ডিগো বিমান পরিষেবা। শেষমুহূর্তে বিমান বাতিল হতেই নিজেদের রিসেপশনেই হাজির হতে পারেনি এক নবদম্পতি। তবে অনুষ্ঠান বাতিল হয়নি। ভার্চুয়ালি রিসেপশনে হাজির হয় নবদম্পতি। নিমন্ত্রিতরা অন্যদিকে হাজির হন সেই অনুষ্ঠানে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হুব্বালিতে। জানা গেছে, বিয়ের রিসেপশনে হাজির হতে পারেনি নবদম্পতি। কারণ ইন্ডিগো বিমান বাতিল ছিল। নবদম্পতি হাজির হতে না পারলেও অনুষ্ঠান বাতিল হয়নি। নিমন্ত্রিতরা সকলেই উপস্থিত হন‌। অন্যদিকে নবদম্পতি ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। 

জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর ওড়িশার ভুবনেশ্বরের সঙ্গমা দাস ও হুব্বালির মেধা কেশিরসাগর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দু'জনেই পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। গত বুধবার নববধূর শহরেই ছোট একটি রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল। গুজরাট ভবনে রিসেপশনের অনুষ্ঠান ছিল। তবে সেখানে পৌঁছনোর আগেই নবদম্পতির বিমান বাতিল ঘোষণা করা হয়। এমনকী তাঁদের বহু আত্মীয়ও সেই অনুষ্ঠানে বিমান বাতিলের কারণে পৌঁছতে পারেননি। 

জানা গেছে, ৬০০ নিমন্ত্রিত হাজির হন সেই অনুষ্ঠানে। ভার্চুয়ালি সকলের সঙ্গে দেখা করে নবদম্পতি। অনলাইনেই তাঁরা রিসেপশনের বিশেষ সাজে সেজে বসেছিলেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে নিমন্ত্রিতদের সঙ্গে দেখা করেন।