আজকাল ওয়েবডেস্ক : মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানা এলাকায় এক বছর দশকের নাবালিকা খুনের ঘটনায় ধৃত দীনবন্ধু হালদারের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করল জঙ্গিপুর আদালত। 

 

গত রবিবার ফরাক্কা থানা এলাকার একটি গ্রামে বছর দশকের ওই নাবালিকা যখন বাড়ির সামনে খেলা করছিল সেই সময় হঠাৎই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর প্রায় তিন ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকেরা ওই নাবালিকার প্রাণহীন দেহ দীনবন্ধু হালদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে খুঁজে পায়। 

 

ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা দীনবন্ধু হালদারকে ব্যাপক মারধর করে । ঘটনার খবর পেয়ে ফরাক্কা থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় । গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর ফরাক্কা থানার পুলিশ দীনবন্ধুকে গ্রেফতার করে এবং আজ তাকে জঙ্গিপুর আদলতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে পেশ করা হয়। 

 

অন্যদিকে দীর্ঘ প্রায় ৩ দিনের জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মৃত ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ হয়েছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ভিডিওগ্রাফি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। যদিও গতকাল জঙ্গিপুর আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। মৃতের পরিবার এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও ডিভিশন বেঞ্চ আলাদা করে কোনও আদেশ দেয়নি। 

 

মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ মৃত ওই নাবালিকার পরিবার কেবলমাত্র ভিডিওগ্রাফি এবং পরিবারের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানায়। সন্ধে ছ'টা নাগাদ বহরমপুরে ময়নাতদন্তের শেষ হয়ে যাওয়ার পর মৃত ঐ নাবালিকার দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ফরাক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। 

 

অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত ওই নাবালিকার সাথে মৃত্যুর আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে কিছু প্রমাণ ডাক্তাররা পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নাবালিকা যাতে চিৎকার করতে না পারে সেই কারণে তার মুখে কাপড় গুঁজে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল ।

 

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক জানান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট ছাড়াও পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা যুক্ত করা হয়েছে।