বুধবার ১৫ মে ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

EXCLUSIVE: আমি বাঙালি, বাংলা ছবি করতে চাই, এখানে এত প্রতিভা, আমি কি পাত্তা পাব: চন্দ্রশেখর

উপালি মুখোপাধ্যায় | ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০০ : ৩৫


ধানবাদের ছেলে। কথায় অবাঙালি টান। সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘রামলীলা’ দিয়ে শুরু। সম্প্রতি তিনি সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ফাইটার’-এ ডাবল এজেন্ট ‘জারিনা বেগম’। অনিল কাপুর, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, হৃতিক রোশনের সঙ্গে কাজ করা চন্দ্রশেখর দত্তর একটাই আফসোস, বাংলা ছবির পরিচালকেরা কি তাঁকে ডাকবেন না? অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় জানালেন সেকথা...

প্রশ্ন: ‘ফাইটার’ সুপারহিট, চন্দ্রশেখর দত্ত সাফল্য উপভোগ করছেন?
চন্দ্রশেখর: জবরদস্ত। খুব ভাল বাণিজ্য। দর্শকদের থেকে খুব ভাল সাড়া মিলেছে। সব কিছু খুব ভাল উপভোগ করছি।

প্রশ্ন: ‘জারিনা বেগম’কে দর্শক ভয় পাচ্ছে না নিন্দেমন্দ করছে?
চন্দ্রশেখর: লোকে প্রচণ্ড ভালবাসছে। জানেন, হলে আমায় দেখে সবাই সিটি দিয়েছে! পর্দায় যতবার দেখিয়েছে ততবার উল্লসিত তারা। মাঝের কিছু অংশ যদিও নেতিবাচক স্তর। ওটাই আসলে ছবির মূল আকর্ষণ।

প্রশ্ন: পর্দায় ‘ডাবল এজেন্ট’ হতে গিয়ে কী কী করলেন?
চন্দ্রশেখর: প্রথমে অডিশন। পরীক্ষায় পাশ করার পরে পরিচালকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা। সিদ্ধার্থ আনন্দ বললেন, ভাল করে চরিত্রটার জন্য তৈরি হও। একজন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় তিনটে বই পড়েছিলাম। আর একগুচ্ছ ছবি দেখেছিলাম। এসবের পরে মনে হল, চরিত্রে এমন কিছু মেশাতে হবে যা দর্শক দেখলেই নাড়া খাবে। বিশেষ করে চলনে-বলনে-কথনে। তার জন্য প্রত্যেক মাসে একদিন করে প্রশিক্ষণ নিতাম। র এজেন্টের হাবভাব কেমন হবে, এয়ারফোর্সে পা রাখার পর সে কেমন করে নিজেকে উপস্থাপিত করবে... সব। টোনড ফিগার করতে হয়েছিল। মানে কোমর বা কাঁধ চওড়া হবে না। নারীর পেলবতা থাকবে সারা শরীরে। যাতে কণ্ঠস্বর না শোনা পর্যন্ত সবাই যাতে মেয়ে বলে ভুল করে। আর ছিল টানটান চিত্রনাট্য। সব মিলিয়ে উৎরে গেলাম। 

প্রশ্ন: র এজেন্টদের জীবন কেমন?
চন্দ্রশেখর: ভীষণ অন্যরকম। ওঁদের তো কোনও আত্মপরিচয় নেই! আজ এক পরিচয়ে বাঁচছে তো কাল অন্য পরিচয়ে। ঠিক যেন অভিজাত শ্রেণির বহুরূপী। রং বদলায়, চরিত্র বদলায়, দেশ বদলায়, ভাষা বদলায়, পেশা বদলায়। এত বৈচিত্র্য খুব কম পেশায় দেখা যায়। ওঁরা কোনও দিন থিতু হতে পারেন না। খুব ইন্টারেস্টিং। 

প্রশ্ন: কাজের সূত্রে অনিল কাপুর, হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোনকে খুব কাছ থেকে দেখলেন, কেমন ওঁরা?
চন্দ্রশেখর: অনিল কাপুর শরীরের যা যত্ন নেন, কেউ দেখে বলবেই না তিনি ৬০ পেরিয়ে গিয়েছেন! তেমনি অভিয়ের ধার। আর হৃতিক-দীপিকা হোমওয়র্ক করে আসতেন। মেকআপ নিয়ে সেটে পা রাখা মানেই ওঁরা চরিত্রে ঢুকে গিয়েছেন। খুব কম সময়ে অনেক বেশি ভাল কাজ দিতে ওঁদের দেখেছি। কাজের সময় কোনও গল্প, হুল্লোড় নেই। প্রচণ্ড পরিশ্রমী। ভীষণ প্রফেশনাল। তাছাড়া, তিন-চার মাস ধরে এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে ওঁরা ক্লাস করতেন।

প্রশ্ন: চরিত্রের খাতিরে বোরখা পড়লেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের এই পোশাক পরার যন্ত্রণা টের পেলেন?
চন্দ্রশেখর: এর পিছনে একটা গল্প আছে। প্রথম বোরখা পরার পরে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে শেষে বোরখার উপরে হিজাব পরানোর অনুরোধ জানিয়েছিলাম। না হলে অভিনয় করব কী করে?

প্রশ্ন: ভারত-পাকিস্তান নিয়ে আজও "চায়ে পে চর্চা", সেই অনুভূতিতে তৈরি ছবি ততটাও সফল হল?
চন্দ্রশেখর: কম কী হল? বিশ্বে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করেছি আমরা। খারাপ কী? তাও তো ১২টা দেশে দেখানো যায়নি। সেটা হলে আরও ব্যবসা হত।

প্রশ্ন: সত্যিই কি ‘নিষিদ্ধ’ করার মতো বিতর্কিত কিছু আছে ছবিতে?
চন্দ্রশেখর: সত্যিই কিচ্ছু ছিল না। একটা সংলাপের জন্য এত কিছু! ভারত-যুক্তরাজ্যের দ্বন্দ্ব নিয়ে একটি বক্তব্যে আপত্তি। তার জন্য একটা ছবি নিষিদ্ধ! যার কোনও মানেই নেই।

প্রশ্ন: পাকিস্তানের অভিনেতাদের দাবি, অকারণ ঘৃণা ছড়াচ্ছে ভারত... দুই দেশের মধ্যে কি তা হলে দ্বন্দ্ব আর নেই? 
চন্দ্রশেখর: এক, পাকিস্তান যদি ভারতের বিরুদ্ধে ছবি বানাতে পারে তা হলে আমাদের দেশ কী দোষ করল? দুই, সত্যিই যদি দ্বন্দ্ব না থাকত তা হলে দুই দেশের আর্থিক পরিকাঠামো অনেক উন্নত হত। স্বাস্থ্য, শিক্ষার মান বাড়ত। হ্যাঁ, আমরা দুই দেশ ক্রিকেট খেলি। বিনোদন দুনিয়ায় শিল্পীদের আনাগোনা হয়। ব্যস, ওই পর্যন্তই।



প্রশ্ন: ‘রামলীলা’ থেকে ‘ফাইটার’— প্রায়ই সবই নেতিবাচক চরিত্র... 
চন্দ্রশেখর: কোথায়! ‘জারিনা বেগম’ পুরোপুরি ইতিবাচক। সেটা নাটক তুলতে সবশেষে দেখানো হবে। বলতে পারেন ‘কেরালা স্টোরি’তে ‘মুসলিম ধর্মগুরু’র চরিত্র বা ‘খাকি’র ‘মন্ত্রী’ চরিত্র পুরোদস্তুর খলনায়ক। আবার ‘নকাব’, ‘লাখো মে এক’ কিন্তু পজিটিভ। মিলিয়েমিশিয়ে কাজ করেছি।

প্রশ্ন: বারবার এই ধরনের চরিত্রে আপনিই কেন? ভাল পারেন বলে? নাকি আপনার চেহারায় ভাল মানায়...তাই?
চন্দ্রশেখর: আমি চরিত্র বাছার সময় নেগেটিভ-পজিটিভ দেখি না। নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করি। কতটা অভিনয় করতে পারব, নিজের শিল্পসত্ত্বা কতটা তৃপ্ত হবে সেদিকে দেখি। বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ খুবই কম। ‘রামলীলা’র পরে এটা দ্বিতীয়। নানা স্তরের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে ১৫ বছর ধরে যেতে যেতে তবে এই জায়গায় পৌঁছোতে পেরেছি। পরিচালকেরাও মনে হয় সেটাই দেখেন। এবার চেহারার কথা। সিরিজ ‘লাখো মে এক’-এ গ্রাম্য, মারাঠি যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। আবার ‘খাকি: দ্য বিহার চ্যাপ্টার’-এর জন্য ২৫ কিলো ওজন বাড়াতে হয়েছিল। বিহারি গুণ্ডাদের সঙ্গে মিশতে হয়েছিল। কারণ, আমি মানুষটা ভীষণ পলিশড। ধানবাদ থেকে ২৫ বছর আগে বলিউডে চলে এসেছি। উত্তর দিতে দিতে মনে হচ্ছে, প্রত্যেকটা চরিত্রই আমায় মানসিক এবং অভিনয়-দুই দিক থেকেই কোনও না কোনও ভাবে সমৃদ্ধ করেছে। তাই এদের শুধুই ‘নেগেটিভ’ বা ‘পজিটিভ’ বলে দাগিয়ে দেওয়াটা বোধহয় উচিত নয়।  

প্রশ্ন: ভিন্ন ধারার ছবিতে অভ্যস্ত অভিনেতার কাছে বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে কাজ অস্বস্তির না উপভোগ্য?
চন্দ্রশেখর: ভাল প্রশ্ন। যদি হোমওয়র্ক করে যাওয়ার সুবিধে থাকে তা হলে বলব ঠিক আছে। যদি আচমকা সেটে গিয়ে সব কিছু বুঝতে হয়, করতে হয়— তা হলে সেটা সত্যিই খুব কঠিন।

প্রশ্ন: হোমওয়র্ক করা থাকলে দরকারে রণবীর, হৃতিকের মতো গাছের ডাল ধরে নাচতে পারবেন?
চন্দ্রশেখর: (একটু থেমে) আমি ঘোড়ায় চড়া, সাঁতার, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, গাড়ি চালানো পারি। একই ভাবে নাচটাও পারি। এখন দেখার, কোনও পরিচালক আমায় সেটা করে দেখানোর সুযোগ দেবেন কিনা। 

প্রশ্ন: তা হলে তথাকথিত ‘নায়ক’ও ‘অভিনেতা’ হতে পারেন?
চন্দ্রশেখর: দু’জনের উদাহরণ দেব। মিঠুন চক্রবর্তী, ইরফান খান। দুজনেই দুই ধারার চরিত্রে অভিনয় করে মাইলস্টোন তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। প্রত্যেক ধারার ছবিতে মিশে গিয়ে অভিনয় করে। মিঠুনদার ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’-এর পাশাপাশি ‘প্রেম পূজারি’ ‘শুকনো লঙ্কা’, ‘নোবেল চোর’ বা সাম্প্রতিক ‘কাবুলিওয়ালা’! প্রত্যেকটা অনবদ্য! দিনের শেষে আমিও বাঙালি। গর্ব হয় ওঁকে নিয়ে। ওঁর মতো কাজ করার স্বপ্ন দেখি। মিঠুনদা আমার গুরু।

প্রশ্ন: শিকড় যদি এই বাংলায়, বাংলা ছেড়ে গেলেন কেন? জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি পেতে? নাকি বলিউড যা পারবে বাংলা তা দিতে পারবে না?
চন্দ্রশেখর: এর পিছনেও মিঠুনদার হাত। ওঁর মতো প্রথমে পুণে-সহ অভিনয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করেছি। তারপর বলিউডে কাজ শুরু করেছি। বড় স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাই। পাশাপাশি, বাংলাতেও কাজ করব।

প্রশ্ন: কার ছবিতে কাজ করবেন?
চন্দ্রশেখর: আফসোস, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক নেই। ওঁদের ছবিতে তো আর কাজ করতে পারব না। এখনকার সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কাজ খুব ভাল লাগে। মুশকিল কি জানেন, আমি বাঙালি। বাংলা ছবিতে কাজ করতে চাই। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পড়ে বড় হয়েছি। কয়েক মাস বাংলায় থাকলেই আগের মতো ঝরঝরে বাংলা বলতে পারব। কিন্তু আমায় কাজ দেবে কে? এখানে এত প্রতিভা। তাঁদের পাশে আমি কি পাত্তা পাব? (দরাজ হাসি)

প্রশ্ন: তা হলে বাংলা থেকে মুম্বইয়ে অভিনেতারা গেলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন! ওঁরা যদি দুই জায়গাতেই রাজপাট চালান?
চন্দ্রশেখর: এত ছোট মন হলে শিল্প করব কী করে? ওঁরাও যাবেন। আমরাও আসব। তবে না আদানপ্রদান বাড়বে। শিল্প সমৃদ্ধ হবে। সবাই এখন সব জায়গায় কাজ করছেন। এই নিয়ে মাথাব্যথা নেই। 



প্রশ্ন: পুরনো পাড়া, বন্ধু, প্রাক্তন প্রেমিকা... আর টানেন?
চন্দ্রশেখর: (থমকে গিয়ে) এখনও বন্ধুরা আমার ছবি প্রথম দিনে প্রথম শো-তে দেখে। এক বন্ধু খুব বদমায়েশ। বলল, তোর সঙ্গে প্রিমিয়ারে ছবি দেখব। মুম্বইয়ে এসেছি। বললাম, চলে আয়। ও বাবা!, প্রিমিয়ারে নিয়ে গিয়ে দেখি ওর পিছনে আরও সাত জন! এদিকে প্রেক্ষাগৃহে ৫০ জনের সিট। তার মধ্যে সাতটা সিট আমার বন্ধুদের দখলে। কী ছবি? বনশালিজির ‘রামলীলা’! লজ্জায় সে দিন মাথা কাটা গিয়েছিল।

প্রশ্ন: প্রেমের কথা এড়িয়ে গেলেন, বাঙালি মেয়েকে বিয়ে করবেন না অন্য ভাষার?
চন্দ্রশেখর: আজ আমি যেখানে সেই জায়গায় পৌঁছোতে ১৫টা বছর লেগে গেল! এখন যদি প্রেম, বিয়ে নিয়ে ভাবি তা হলে আবার পিছিয়ে যাব। ওই পথে আমি নেই। আরও পাঁচ বছর প্রচণ্ড পরিশ্রম করে তারকা হয়ে যাই। তারপরে না হয় ভাবব?

 










বিশেষ খবর

নানান খবর

প্রণাম #MrinalSen #aajkaalonline #BirthAnniversary

নানান খবর

EXCLUSIVE: ‘খাদান’-এ বলিউড যোগ! শেষ পর্বের শুটে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেতা? ...

Chanchal Chowdhury: কীভাবে হয়ে উঠলেন মৃণাল সেন? টিজার প্রকাশ পেতেই মুখ খুললেন চঞ্চল চৌধুরী ...

Tollywood: সৃজিতের ছবিতে প্রথমবার অনন্যা, বাদ পড়লেন আদৃত রায়?...

EXCLUSIVE: মিনি স্কার্ট পরা ঋতু আমার দিকেই তাকিয়েছিল, বুম্বাদা ওকে তুলে নিল: শিলাজিৎ...

রজ্যের ভোট

Television: অগ্নি-জল-বায়ু, কিছুই নই গো আমি! আমি তো ভোলা! কাকে বললেন বিপুল?...

Music: শ্রেয়া না গাইলে গানটাই বৃথা হয়ে যেত, ‘অযোগ্য’ ছবির প্রথম গান নিয়ে বললেন রণজয়...

ফ্যাশনে নস্টালজিয়ার নতুন ঠিকানা 'কলকাতানামা', ব্র্যান্ড নিয়ে কী বলছেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়?...

EXCLUSIVE: ফের বয়সে ছোট প্রেমিক অরুণিমার! অনিন্দ্য জানালেন, আমার পরান ইহা চায়......

EXCLUSIVE: রাহুল অতীত, বর্তমানে উজানের প্রেমের সুরে মগ্ন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য...

Kartik Aaryan: এবার কি সুপারহিরো 'রুহু বাবা'? নতুন ছবিতে এ কোন অবতারে কার্তিক আরিয়ান?...

Television: বর্ষার মুম্বইয়ে রোমান্সে ভিজেছিলেন অমিতাভ-মৌসুমী! তৈরি হয়েছিল কোন কালজয়ী গান? ...

EXCLUSIVE: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ গায়িকা অন্তরা এবার ইন্ডি গীতিকার-সুরকার! স্বপ্ন, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে গান...

Breaking: সৃজিতের 'পদাতিক'-এ অমিতাভ বচ্চন! কোন টলিউড অভিনেতা থাকছেন এই চরিত্রে?...

Bigg Boss ott 3: 'বিগ বস ওটিটি'র নতুন সিজনে থাকছেন না সলমন! কে থাকছেন সঞ্চালনায়?...

Tollywood: অদেখা ছবি থেকে আবেগঘন লেখা 'মাদার্স ডে'তে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরালেন জিৎ-মিমি-অঙ্কুশরা...

সোশ্যাল মিডিয়া