বিমা সংস্থায় মায়ের নাম বিমা করিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মায়ের চিকিৎসার খাতে সে টাকা না পেয়ে সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। খবর ছড়াতেই নড়ে বসে সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যে সমস্যার সমাধান। বিমা সংস্থা ঋতুপর্ণার মায়ের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ মিটিয়ে দিয়েছে। শহরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে নায়িকার মা।

সমস্যা মিটতেই বড়পর্দার ‘দত্তা’ আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে। যাঁরা অসময়ে তাঁর পাশে ছিলেন। তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যম সমর্থন জানানোতেই এই সমস্যা মিটল। ধন্যবাদ জানিয়েছেন, প্রশাসন, হাসপাতাল এবং তাঁর কাছের বন্ধুদেরও। যাঁরা দুর্দিনে তাঁর পাশে ছিলেন। নায়িকার অনুরোধ, আগামীতে কোনও প্রবীণ নাগরিকের চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে কোনও বিমা সংস্থা যেন এই ধরণের প্রতারণা না করে। আজকাল ডট ইনকে বিমা সংস্থার তরফ থেকেও জানানো হয়, সমস্যা মিটে গিয়েছে।
দিন কয়েক আগে তাঁর মা ভর্তি হন শহরের প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকদের তৎপরতায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন দ্রুত। হাসপাতাল থেকে মুক্তির সময়েই সমস্যা। নায়িকা একটি বিমা সংস্থা থেকে মায়ের জন্য বিমা করিয়েছিলেন। সেই সংস্থা এখন টাকা দিতে অস্বীকার করছে। যার জেরে ঋতুপর্ণার মা সুস্থ হয়েও হাসপাতালে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।

বিশদে জানতে আজকাল অনলাইন যোগাযোগ করেছিল নায়িকার সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, এই সংস্থা এর আগেও আমার সঙ্গে এই ধরণের সমস্যা তৈরি করেছে। গাড়ি কেনার সময়। এবার আমার মায়ের চিকিৎসার নিয়ে। তাঁর দাবি, তিনি চিকিৎসার পুরো অর্থ দিতেই পারেন। কিন্তু এতে প্রতারক সংস্থাকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে। এদিকে, সুস্থ হওয়ার পরেও ছাড়া না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন নায়িকার মা।

কথা বলেছেন বিমা সংস্থার অভিযুক্ত কর্মীও। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী জানিয়েছেন, ১৬.৮.২৩ তারিখে ঋতুপর্ণা সংস্থায় বিমা করান। সেই অনুযায়ী সংস্থা ২২.৮.২৩-এর প্রেসক্রিপশন চায়। কিন্তু গ্রাহক এক মাস পরের প্রেসক্রিপশন জমা করেন। তার ফলেই কিছূ সমস্যা তৈরি হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই যাবতীয় কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে। সংস্থা বিষয়টি দেখছে।