‘‘ওর মধ্যে বড্ড ছেলেমানুষী ছিল। আর তাই আমার সাধের খবর জেনে বাচ্চাদের মতো বায়না জুড়েছিল, আমার কবে সাধ হবে!’’, শ্রীলা মজুমদারের কথা বলতে গিয়ে এভাবে স্মৃতিপথে হাঁটলেন মমতাশঙ্কর। যিনি বাস্তবে প্রয়াত অভিনেত্রীর ‘দিদি’র সমান ছিলেন। ৬২ বছরে থামলেন শ্রীলা মজুমদার। ক্যান্সারের মতো মারণরোগের সঙ্গে নিত্য লড়াই করে। কিন্তু মমতাশঙ্করের দাবি, ""পালান" করার সময় কাউকে একটুও বুঝতে দেয়নি! শরীরখারাপ লুকিয়ে কাজ করে গিয়েছে। আমরা জানতাম, ও খুব অসুস্থ। সেই কষ্ট শরীরে প্রকাশও পেত। কিন্তু শ্রীলা মুখ ফুটে নিজের সমস্যার কথা কখনও বলত না।"" বলতে বলতে চাপা কান্না জোর করে বুঝি গিলে নিলেন পর্দার আরও এক তারকা অভিনেত্রী।
একমুঠো ছবিতে মমতাশঙ্কর শ্রীলার সঙ্গে পর্দাভাগ করেছেন। একদিন প্রতিদিন, খারিজ, সমুদ্র সৈকতে, পালান-- এর মতো ছবি তালিকায়। অভিনেত্রীর কথায়, ""তখন আমার সদ্য বড় ছেলে হয়েছে। তাই একদিন প্রতিদিন-এ আমার যে চরিত্র করার কথা সেটা ওকে দিয়েছিলেন মৃণালদা। পরে দেখলাম, ওকে দিয়েই ভাল করেছেন। কারণ, আমিও ওঁর মতো ফোটাতে পারতাম না।"" তার আগে অভিনেত্রীর সাধভক্ষণ পর্ব গিয়েছে। শ্রীলা কৌতূহল নিয়ে মমতাশঙ্করকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ""কী কী উপহার পেয়েছ?"" মমতা জানিয়েছিলেন, অনেক শাড়ি পেয়েছেন তিনি। শুনেই নাকি প্রয়াত অভিনেত্রী ছেলেমানুষের মতো বলে উঠেছিলেন, ""আমার কবে সাধ হবে! তা হলে আমিও এত শাড়ি উপহার পাব।"" পরে দুই অভিনেত্রীর ছেলে এক স্কুলে ভর্তি হওয়ায় প্রায়ই তাঁদের সেখানেও দেখা হত।
শ্রীলার মাত্র একটি ছবির সহ-অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের "আকালের সন্ধানে"-তে তাঁরা পর্দাভাগ করেছিলেন। ধৃতিমান আজও সযত্নে সেই স্মৃতি মনে রেখেছেন। তাঁর চোখে অনন্য অভিনেত্রী তিনি। তাঁরও আফসোস, বিনোদন দুনিয়া সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারল না শ্রীলাকে। ব্যস্ততার কারণে "পালান" ছবিটি দেখে উঠতে পারেননি। শ্রীলার কথা বলতে বলতে জানালেন, এবার ছবিটা দেখতেই হবে। মাত্র একটি ছবিতে কাজ। কিন্তু শ্রীলার আন্তরিক ব্যবহার তাঁকে মনে রাখতে বাধ্য করেছে, দাবি প্রবীণ অভিনেতাj। শ্রীলা মজুমদার যতটা পর্দার ততটাই মঞ্চ এবং বেতারেরও। কোন মাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি ধৃতিমানের বেশি প্রিয়? একটু ভেবে তাঁর জবাব, ""বাচিকশিল্পী শ্রীলা আমার বড্ড পছন্দের। ওর গলায় মায়া ছিল। আর খুব দ্রুত চরিত্র অনুযায়ী উচ্চারণ বদলে ফেলতে পারত। যা সচরাচর অনেকেই পারেন না।""
একমুঠো ছবিতে মমতাশঙ্কর শ্রীলার সঙ্গে পর্দাভাগ করেছেন। একদিন প্রতিদিন, খারিজ, সমুদ্র সৈকতে, পালান-- এর মতো ছবি তালিকায়। অভিনেত্রীর কথায়, ""তখন আমার সদ্য বড় ছেলে হয়েছে। তাই একদিন প্রতিদিন-এ আমার যে চরিত্র করার কথা সেটা ওকে দিয়েছিলেন মৃণালদা। পরে দেখলাম, ওকে দিয়েই ভাল করেছেন। কারণ, আমিও ওঁর মতো ফোটাতে পারতাম না।"" তার আগে অভিনেত্রীর সাধভক্ষণ পর্ব গিয়েছে। শ্রীলা কৌতূহল নিয়ে মমতাশঙ্করকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ""কী কী উপহার পেয়েছ?"" মমতা জানিয়েছিলেন, অনেক শাড়ি পেয়েছেন তিনি। শুনেই নাকি প্রয়াত অভিনেত্রী ছেলেমানুষের মতো বলে উঠেছিলেন, ""আমার কবে সাধ হবে! তা হলে আমিও এত শাড়ি উপহার পাব।"" পরে দুই অভিনেত্রীর ছেলে এক স্কুলে ভর্তি হওয়ায় প্রায়ই তাঁদের সেখানেও দেখা হত।
শ্রীলার মাত্র একটি ছবির সহ-অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের "আকালের সন্ধানে"-তে তাঁরা পর্দাভাগ করেছিলেন। ধৃতিমান আজও সযত্নে সেই স্মৃতি মনে রেখেছেন। তাঁর চোখে অনন্য অভিনেত্রী তিনি। তাঁরও আফসোস, বিনোদন দুনিয়া সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারল না শ্রীলাকে। ব্যস্ততার কারণে "পালান" ছবিটি দেখে উঠতে পারেননি। শ্রীলার কথা বলতে বলতে জানালেন, এবার ছবিটা দেখতেই হবে। মাত্র একটি ছবিতে কাজ। কিন্তু শ্রীলার আন্তরিক ব্যবহার তাঁকে মনে রাখতে বাধ্য করেছে, দাবি প্রবীণ অভিনেতাj। শ্রীলা মজুমদার যতটা পর্দার ততটাই মঞ্চ এবং বেতারেরও। কোন মাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি ধৃতিমানের বেশি প্রিয়? একটু ভেবে তাঁর জবাব, ""বাচিকশিল্পী শ্রীলা আমার বড্ড পছন্দের। ওর গলায় মায়া ছিল। আর খুব দ্রুত চরিত্র অনুযায়ী উচ্চারণ বদলে ফেলতে পারত। যা সচরাচর অনেকেই পারেন না।""
