প্রয়াত সতীশ শাহ। কয়েক দশক ধরে বহু জনপ্রিয় চরিত্রে দর্শকের মনে জায়গা করে রাখা প্রখ্যাত অভিনেতা আর নেই। ২৫ অক্টোবর দুপুর ২:৩০ নাগাদ মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪। ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ এবং ‘ম্যায় হুঁ না’-র মতো ছবি এবং ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় এখনও স্মৃতির পাতায় জীবিত। সতীশ শাহ দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন এবং সম্প্রতি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন।
তাঁর আপ্তসহায়ক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, অভিনেতার দেহট এখনও হাসপাতালেই রাখা আছে এবং তাঁর শেষকৃত্য রবিবার সম্পন্ন হবে।
শুরু থেকে অভিনয়ের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন সতীশ। ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। সাতের দশকের শুরু থেকে তিনি বহু ধারাবাহিক এবং ছবিতে অভিনয় করেছেন, যেখানে তাঁর অভিনয়শৈলী দর্শকদের মন জয় করেছে। বিশেষ করে ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকে সারভাই পরিবারের নানা রকম হাস্যকর পরিস্থিতিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন নিজের অভিনয়গুণে। তাঁর সেই চরিত্র আজও সমান জনপ্রিয়।
‘জানে ভি দো ইয়ারো’ এবং ‘ম্যায় হুঁ না’-র মতো জনপ্রিয় ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। সতীশ কেবল অভিনেতা হিসাবে নন, বরং একজন মানুষ হিসেবেও সকলের কাছে স্মরণীয়। তিনি মজার ছলে হলেও গভীর অর্থপূর্ণ সংলাপ এবং আবেগ প্রকাশ করতে পারতেন, যা তাকে অন্যান্য শিল্পীদের থেকে আলাদা করেছিল।
চার দশকেরও বেশি কেরিয়ারে সতীশ সিনেমা এবং টেলিভিশনে অসাধারণ সব চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকমহলে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ১৯৮৩ সালের কমেডি ছবি ‘জানে ভি দো ইয়ারো’-তে তাঁর অভিনয় তাঁকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেয়। অভিনয় জগতে বারবার নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কখনও পিছপা হননি সতীশ। তবে কাজের বাইরে বরাবরাই আলোকবৃত্ত থেকে দূরে থেকেছেন।
বড় পর্দাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন সতীশ। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বহু জনপ্রিয় ছবি। যেমন ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘কাল হো না হো’, ‘কভি হাঁ কভি না’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, এবং ‘ওম শান্তি ওম’। এই ছবিগুলিতে তিনি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তাঁর বহুমুখী প্রতিভা প্রমাণ করেছেন।
