মিল্টন সেন,হুগলি: স্নান করতে গঙ্গায় গিয়ে সেলফি তোলার চেষ্টা। বিপত্তি ঘটল তাতেই। হঠাৎ আসা বানের তোড়ে তলিয়ে যায় পিতা পুত্র। দশমীর পর একাদশীতে উদ্ধার হল দুজনের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত সুরকি ঘাট এলাকায়। দশমীতে ছেলে রুদ্র (১০)কে নিয়ে স্নান করতে নামেন বাবা রাজীব নায়েক(৪০)। তারা শ্রীরামপুর প্রভাস নগর এলাকার ধোবিয়াপাড়ার বাসিন্দা। বাবা ছেলে স্নান করতে নামার পর হঠাত আসা বানের তোড়ে গঙ্গার গভীরে তলিয়ে যায় ছেলে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে যান বাবাও। ওদিকে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায়, বাড়ি থেকে রাজীবকে ফোন করা হয়। অন্য একজন জানান, ঘাটে ফোন এবং জামা প্যান্ট আছে, কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এরপরই পরিবারের লোক ঘাটে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় শ্রীরামপুর থানায়। গঙ্গার ঘাটে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বোট নামিয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে একাদশীর সকালে সুরকি ঘাটের অদূরে দুটি মৃতেদহ ভাসতে দেখে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসে মৃতদেহ চিহ্নিত করেন। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গায় স্নান করতে নামলেও সাঁতার জানত না রাজীব নায়েক ও তার ছেলে। সেই কারণে জলের গভীরে তলিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়নাথ ঝাঁ বলেছেন, রাজীব নায়েক রিষড়া জয়শ্রী কটন মিলে কাজ করতেন। মঙ্গলবার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নবরাত্রী পুজোর ফুল বেলপাতা বিসর্জন দিতে গঙ্গায় গিয়েছিলেন। ঘাটে পৌঁছে ছেলেকে নিয়ে গঙ্গায় স্নান করতে নামেন। ছেলে বলে সেলফি নিতে। সেলফি তোলার পর মোবাইল রাখতে ঘাটে ওঠেন রাজীব। সেই সময় হঠাতই জোয়ার এসে যায়। জোয়ারের জলে ছেলেকে ভেসে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করে, তলিয়ে যান বাবাও।
