বাবা-ছেলের বন্ধন নিয়ে বরাবরই একটা মুখচোরাভাব কাজ করে। বাবারা বোধহয় ছেলের প্রতি ভালবাসাটা ঠিক বুঝিয়ে উঠতে পারেন না। আর ছেলেরা? রবিবার সকাল থেকেই টলিপাড়ায় বাবা-ছেলে জুটির ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবার কোলে ছোট্ট ছেলেটিকে কি চিনতে পারছেন? তিনিই এখন টলিউডের 'ইন্ডাস্ট্রি'। 

 

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। এই ছোট্ট ছেলেটি আর কেউ নন, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কোলে ছোট্ট বুম্বাকে দেখে যেন চেনাই দায়। এই ছবিটি নিজেই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ। আসলে ১৪ ডিসেম্বর, বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বাবার জন্মদিনে ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ালেন 'বুম্বাদা'। 

এই ছবিটি ভাগ করে লিখলেন, 'জীবন হোক বা সিনেমা দুটোরই আসল পাঠ তোমার কাছ থেকেই পাওয়া। জন্মদিনে জানাই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা বাপি।' ছুটির দিনে ইন্ডাস্ট্রির 'জেষ্ঠ্য পুত্র'র এই মিষ্টি ছবি দেখে আপ্লুত অনুরাগীরা। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি নেটিজেনরা। 

 


ছোট্ট প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এর আগেও দর্শক দেখেছেন। আসলে শিশুশিল্পী হিসেবে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা' ছবিতে প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা যায় তাঁকে। ছবিতে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের ছেলের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। এরপরে ১৯৮৩ সালে 'দুটি পাতা' ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

 

 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের খবর পেয়েই শোকে ভেঙে পড়েছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। স্মৃতি হাতড়ে বলেছিলেন, "ও আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। দিলীপ কুমার, মনোজ কুমার, দেব আনন্দ... সবাই স্তম্ভ ছিলেন। স্তম্ভ তো চিরকাল থাকে না। একদিন তো হেলে যাবেই। কাজটা থেকে যায়। মানুষের কর্মটাই মূল।" 

 

 

বিশ্বজিৎ এদিন আরও বলেন, "ওর গোটা পরিবার আমার খুব কাছের। ববি তো আমার সামনে হল। মনে হয় এই তো সেদিনের কথা। শুটিং করছিলাম, ধর্মেন্দ্র এসে বলল আমার ছেলে হয়েছে। ছবির মতো সব মনে পড়ছে। গোয়াতে আমরা শুটিং করতে গিয়েছিলাম, সানি গিয়েছিল ওর বাবার সঙ্গে। তখন ও স্কুলে পড়ে। ওর মতো ছেলে হয় না। ইন্ডাস্ট্রির জন্য কী না করেছে। কাউকে ফেরায়নি কখনও। বিরাট মনের মানুষ। প্রথম দিন থেকেই আমার ওর সঙ্গে ভীষণ মিল হয়ে গিয়েছিল।"