আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ফাস্ট বোলার হেনরি থর্নটনকে খাবারে বিষক্রিয়ার সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল কানপুরে চলতি ভারত ‘এ’ বনাম অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ একদিনের সিরিজ চলাকালীন। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গুরুতর পেটের সংক্রমণের অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে কানপুরের রিজেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হোটেলের খাবার খাওয়ার পর থেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন থর্নটন। প্রথমে স্থানীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখলেও পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করেন।

দলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, কানপুরে পৌঁছনোর আগেই হালকা গ্যাস্ট্রো সমস্যায় ভুগছিলেন থর্নটন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। এই ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু থর্নটন নন, দলের আরও তিনজন খেলোয়াড় একই ধরনের সমস্যায় ভুগেছেন, তবে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এদিকে ভারতীয় তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন, যা তাঁকে ভারতের ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়ার দাবিদার করে তুলেছে।

তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় লিস্ট-এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল জয় তুলে নেয় ৯ উইকেটে। তিলকের ব্যাটেই এশিয়া কাপ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। তারপর দেশে ফিরে কার্যত নায়কের সম্মান পাচ্ছেন তিলক ভার্মা। বিমানবন্দর থেকে হুডখোলা গাড়িতে চাপিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তরুণ ব্যাটারের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন ভিড় জমানো ক্রিকেটপ্রেমীরা। এশিয়া কাপ জেতার পর অবশ্য তিলকের কটাক্ষ, পাকিস্তানকে এখন তো আর মাঠে দেখতে পাচ্ছি না!

রবিবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে প্রবল চাপ থেকে ভারতকে উদ্ধার করে পাকিস্তানের গ্রাস থেকে একা ফাইনাল ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তিলক। মাত্র ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ করেন। কিন্তু সেই ইনিংস খেলা খুব একটা সহজ ছিল না তিলকের পক্ষে। একে তো ভারত ২০–৩ হয়ে গিয়েছিল ইনিংস শুরুর চার ওভারের মধ্যে। তার উপর তিলক ক্রিজে আসা মাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা তাঁকে কথা শোনাতে শুরু করেন। উত্যক্ত করতে শুরু করেন। গালিগালাজ করতে থাকেন। তার মধ্যেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তরুণ ব্যাটার।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিলক বলেন, ‘আমি স্রেফ চেয়েছিলাম, আমার ব্যাট কথা বলুক। আমি নামার পর ওরা প্রচুর চেঁচামেচি করছিল। প্রচুর কথাবার্তা বলছিল। আমি শুধু ব্যাট দিয়ে উত্তর দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কী ব্যাপার বলো তো? পাকিস্তানকে এখন তো আর মাঠে দেখতে পাচ্ছি না।’‌  স্টেডিয়ামজুড়ে বন্দেমাতরম ধ্বনিও তাঁকে প্রবলভাবে তাতিয়ে দিয়েছিল এটাও জানিয়েছেন তিলক। এবার দারুণ ইনিংস খেলে দেশে ফেরার পর নায়কের সম্মান পাচ্ছেন হায়দরাবাদি ব্যাটার। সোমবার তাঁকে স্বাগত জানাতে হায়দরাবাদের শামসাবাদ বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। সেখানে তেলেঙ্গানার স্পোর্টস অথরিটির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তিলককে। তারপর হুডখোলা গাড়িতে চেপে বিমানবন্দর ছাড়েন বাঁহাতি তারকা ব্যাটার, একেবারে নায়কের মেজাজে।