আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন বছরে অনেকেই রেজলিউশন নিয়েছেন হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলবেন। ত্বকের যত্ন নেবেন একটু বেশি। এদিকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছেন দেদার পার্টি, চলেছে জোরদার খানাপিনা। এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, টক্সিন হিসাবে, অ্যালকোহলের অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে শরীরে। এটা শুধু লিভারের সমস্যা নয়, অনেক ত্বকের সমস্যার জন্যেও দায়ী। জানুন কী বলছেন থেরাপিস্ট।
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অত্যাধুনিক হাইড্রেটিং সেরাম বেছে নেওয়ার আগে নজর দিন আপনার মদ্যপানের অভ্যাসের দিকে। অ্যালকোহলের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যা শরীরকে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি করে। যখন আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়, প্রথমে ত্বক নির্জীব হয়ে পড়ে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, এই অ্যালকোহল-প্ররোচিত ডিহাইড্রেশনের কারণেই ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে।
 ডিহাইড্রেশন, ত্বকে সুক্ষরেখা এবং বলিরেখাকে জোরদার করে তোলে। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল আরও জোরালো হয়। শরীর যদি খুব বেশি সময় ধরে ডিহাইড্রেটেড থাকে, তবে এটি ত্বকের প্রাকৃতিক সিবাম উৎপাদনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিকভাবে আপনাদের মনে হতে পারে, অনেক বেশি মদ্যপানের কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে গিয়েছে। আদতে ত্বকের ডিহাইড্রেশনের এটাই প্রাথমিক উপসর্গ।
অনেকেই খেয়াল করেছেন হয়তো, মদ্যপানের পরের দিন মুখ লাল হয়ে থাকে (ব্যক্তি বিশেষে)। অ্যালকোহল নিজেই একটি ভাসোডিলেটর। যা ত্বকের প্রসাধনীর ওপর প্রভাব ফেলে। অ্যালকোহল অ্যাসিটালডিহাইডে রূপান্তরিত হয়। এগুলো ত্বকে জমা হতে থাকে। ফলে ত্বকের রক্তনালীগুলি প্রসারিত হতে শুরু করে। তাই আপনি গোলাপি গাল বা ফ্লাশড চেহারা পান। প্রাকৃতিক এই জেল্লা আপনাকে খুশি করতে পারে, কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
 ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, অনেকেই প্রতি বছর সানস্ক্রিন, রেটিনয়েড এবং ভিটামিন সি স্কিনকেয়ার প্রসাধনীর জন্য প্রচুর টাকা খরচ করেন। কিন্তু মদ্যপানের অভ্যাস এই পণ্যগুলিকে আমাদের ত্বকের জন্য কার্যকরী হতে দেয় না, দাবি থেরাপিস্টের। তাই সচেতন থাকুন। আর, ত্বক ভালবেসে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনুন।