আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাঁরা উড়োজাহাজে চড়েছেন তাঁরা জানবেন, প্রতি যাত্রী পিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন নেওয়া যায় বিমানে। তার থেকে সামান্য বেশি হলেই দিতে হয় মোটা টাকা। এবার ট্রেনেও কি চালু হতে চলেছে সেই নিয়ম? এমনই খবর ভেসে আসছে রেল মন্ত্রক সূত্রে।

কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যেই রেল স্টেশনে বসতে পারে ওজন করার মেশিন। সেখানে মাপা হবে প্রতি যাত্রীর ব্যাগপত্রের ওজন। যাত্রী পিছু মালপত্রের ওজন বেঁধে দেওয়া হবে। যদি কোনও যাত্রী সেই ওজনের বেশি মালপত্র নিয়ে যেতে চান, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে যাত্রীদের।

আপাতত, পরীক্ষামূলক ভাবে দিল্লি এবং রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়াগরাজ জংশন, কানপুর সেন্ট্রাল, মির্জাপুর, তুন্ডলা, আলিগড় জংশন এবং ইটাওয়াহতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে। কোন ক্লাসে ভ্রমণ করছেন তার উপরে নির্ভর করবে কতটা ওজন নিয়ে যেতে পারবেন।

১. এসি ফার্স্ট ক্লাস - ৭০ কেজি
২. এসি সেকেন্ড ক্লাস - ৫০ কেজি
৩. এসি থ্রি টিয়ার এবং স্লিপার - ৪০ কেজি
৪. জেনারেল - ৩০ কেজি

এছাড়াও বেশি জায়গা লাগে কিংবা হাঁটাচলার জায়গা রুদ্ধ করে এমন ব্যাগপত্র নিলে জরিমানা করা হবে বলেও খবর রেল সূত্রে। নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে (প্রয়াগরাজ) এর সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার হিমাংশু শুক্ল এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে বলেন, “যাত্রীরা যাতে আরও আরামে যাতায়াত করতে পারেন তাই এই পদক্ষেপ। বিশেষ করে যাঁরা লম্বা যাত্রা করছেন তাঁদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় বিপুল টাকা ঢালা হচ্ছে প্রয়াগরাজ জংশনে। খরচ হচ্ছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। দেশের অন্যতম বড় স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে প্রয়াগরাজকে। নয় তলা অট্টালিকা, ওয়াইফাই, সৌরবিদ্যুৎ, স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন-সহ নানান পরিষেবা মিলবে এই জংশনে। মডেল স্টেশন হিসাবে তৈরি হয়ে গেলে, এর পর কানপুর এবং গোয়ালিয়রকেও একই রকম ভাবে মডেল স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে একহাত নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। যেখানে দেশের অন্যান্য স্টেশনগুলি পরিকাঠামোর দিক থেকে ধুঁকছে সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যে এভাবে একপেশে টাকা ঢালা অর্থনৈতিক ভাবে বৈষম্যের পরিচয় বলেই মত বিরোধীদের। পাশাপশি ট্রেনের ক্লাস হিসাবে মালপত্রের ওজন বেঁধে দিলে কোপ গরীব মানুষের উপর পড়বে বলেও মনে করছেন অনেকে।