আচমকাই মিলে গেলেন বিদ্যা এবং অনির্বাণ! কোন সুখবর শোনালেন উচ্ছ্বসিত নায়িকা
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৮ : ০৩
শেয়ার করুন
সুখবর দিলেন বিদ্যা বালান। সঙ্গী অনির্বাণ ভট্টাচার্যের গান। যেন এক অপ্রত্যাশিত যুগলবন্দি। না, এক ছবিতে কাজ করছেন না তাঁরা। নিদেনপক্ষে বিজ্ঞাপন, সিরিজ বা মিউজিক ভিডিও-ও নয়। তা হলে কী ভাবে মিলে গেলেন দুই তারকা?
সোমবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিদ্যা। হালকা গোলাপি রঙের সালোয়ারে সেজে উঠেছেন অভিনেত্রী। কপালে ছোট্ট লাল টিপ, ঠোঁটে লিপস্টিক। কানে ঝুমকো। অনির্বাণ এবং তাঁর ব্যান্ড ‘হুলিগানিজম’-এর প্রথম গান ‘মেলার গান’-এ ঠোঁট মিলিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গেই দিয়েছেন সুখবর।
ভিডিওটি পোস্ট করে বিদ্যা লিখেছেন, ‘আজ পুরো বাঙালি মেজাজে প্রস্ফুটিত। কারণ আমার প্রথম হিন্দি ছবি পরিণীতা ২৯ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। আজ তার প্রিমিয়ার।’
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Vidya Balan (@balanvidya)
মুক্তির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফের বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে পরিণীতা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৯১৪ সালের বাংলা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি। পরিচালনায় প্রদীপ সরকার এবং প্রযোজনায় বিধু বিনোদ চোপড়া। বিদ্যার সঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন সইফ আলি খান, সঞ্জয় দত্ত, রাইমা সেনের মতো তারকারা। সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু মৈত্র। কলকাতার পটভূমিতে তৈরি এই আখ্যান পর্দায় মন জয় করেছিল দর্শকের।
এক সাক্ষাৎকারে ‘পরিণীতা’র পুনর্মুক্তি নিয়ে বিদ্যা বলেন, "এটা আমার জন্য খুবই আবেগঘন মুহূর্ত। পরিণীতা থেকেই সবকিছু শুরু হয়েছিল... ছবির প্রতিটি ফ্রেম আমার হৃদয়ের এক-একটা টুকরো বহন করে, এবং প্রদীপদা এবং মিঃ বিনোদ চোপড়ার কাছে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য। এই ছবির জন্য একজন অভিনেত্রী হিসাবে আমি নিজের কাছে ঋণী। এই ছবিটি, তার গান এ কেমন অনুভূতি দিয়েছে, এত বছর পরেও মানুষ তা মনে রেখেছেন। তাঁরা বলেন, প্রতিটি ফ্রেম এক-একটি ছবির মতো... এটাই প্রদীপ সরকারের জাদু... তাই আমি আশা করি নতুন প্রজন্মও পরিণীতার মাধ্যমে পুরনো দিনের ভালবাসা আবিষ্কার করবে।"
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘পরিণীতা’য় সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন বিদ্যা। সেই ছবিতে সঞ্জয় ছিলেন 'গিরিশ', আর তিনি ছিলেন 'ললিতা’। অভিনেত্রী বলেন, “সঞ্জয় দত্ত সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সকালে এসে বললেন, ‘বিদ্যা, আমি খুব নার্ভাস। বুঝতে পারছি না এটা কীভাবে করব?’ শুনে তো আমি থ! আমি তখন ভাবছি, এ তো সঞ্জয় দত্ত। এত বড় তারকা! আর উনি নার্ভাস? সেটা শুনেই হাসি পাচ্ছিল। উনি তো সবদিক থেকেই ‘অভিজ্ঞ’!”
কিন্তু এরপরেই বিদ্যা বুঝেছিলেন—এই ‘নার্ভাস’ অভিনয়টা সঞ্জয় করছেন শুধু ওঁকে স্বচ্ছন্দ করে তোলার জন্য। “ওটা ওঁর উদারতা ছিল। আমার প্রথম ঘনিষ্ঠ শুটিংয়ের দৃশ্য ছিল ওটা, আমি তো ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম। কী করব, কিছু বুঝছিলাম না। মনে হচ্ছিল, নিজের খুব গোপন একটা অংশ সবাইকে খুলে দেখাচ্ছি! সঞ্জয় তখন নিজের অভিজ্ঞতা গোপন রেখে আমাকেই হালকা করার চেষ্টা করলেন।”