আদিত্য ধর পরিচালিত ছবি 'ধুরন্ধর' বক্স অফিসে যে কেবল ঝড় তুলেছে সেটাই নয়। এই ছবির গল্প থেকে গান, অভিনয় থেকে সংলাপ, নাচ সবই নজর কেড়েছে দর্শকদের। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ছবি এবং তার চরিত্ররা। কিন্তু 'ধুরন্ধর' যতই কাল্পনিক ছবি হোক না কেন, এর গল্প থেকে বাস্তবের থেকেই নেওয়া। ২০০০ সালে পাকিস্তানের লিয়ারি শহরের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে রণবীর সিং অভিনীত ছবিটি। গল্পে উঠে এসেছে ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে থাকা অন্যতম ব্যক্তি রেহমান ডাকাতের কথাও। তাঁর চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন অক্ষয় খান্না। এবার এই চরিত্র এবং 'ধুরন্ধর' নিয়ে মুখ খুললেন বাস্তবের রেহমান ডাকাত ওরফে রেহমান বালোচের বন্ধু হাবিব জান বালোচ। তুমুল প্রশংসা করেন আদিত্য ধরের ছবির। একই সঙ্গে তাঁর বন্ধু কেমন ছিল সেটাও জানান।
এদিন এক রিপোর্টারের সঙ্গে হাবিব জান বালোচের কথপোকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে এই ব্যক্তি জানাচ্ছেন যে তিনি দু'বার 'ধুরন্ধর' দেখেছেন। ছবির তারিফ করে বলেন, 'দারুণ বানিয়েছে ছবিটা। চরিত্রটা নিয়ে কিছু বলার নেই, ছবিতে তো এমনই দেখায়। এক, আধটা আরও ভাল গান থাকলে আরও ভাল লাগত। পাকিস্তান, করাচি তো ওকে নিয়ে কিছু করল না। ভারতের বলিউড করে দেখাল। ওদের ধন্যবাদ।'
বাস্তবে কেমন ছিলেন রেহমান ডাকাত? বন্ধুর স্মৃতি হাতড়ে হাবিব বলেন, 'ও হিরো ছিল। ভাল মানুষ ছিল। খুবই ভাল মানুষ ছিল। পাকিস্তান ওর কাছে কৃতজ্ঞ। রেহমান আর উজের বালোচ যদি না থাকত, তাহলে করাচি বাংলাদেশ ২ হতো। বা হয়তো আরও খারাপ অবস্থা হতো। করাচি গ্যাংকে লিয়ারি গ্যাং আটকে ছিল।'
তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, তাঁর মতে এই ছবিটি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করেনি। এই বিষয়ে বলে রাখা ভাল, পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপির সদস্যরা দাবি করেছেন এই ছবিতে নাকি তাঁদের দলকে নেতিবাচক ভাবে দেখানো হয়েছে। সেই দাবিকে খন্ডন করলেন তাঁদেরই দেশের নাগরিক, তথা আইনজীবী এবং রেহমান বালোচের ছোটবেলার বন্ধু হাবিব জান বালোচ।
'ধুরন্ধর' প্রসঙ্গে বলতে গেলে এই ছবিটি ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই এটি ১০০০ কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। রেহমান বালোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না। ভারতীয় গুপ্তচর হিসেবে দেখা গিয়েছে রণবীর সিংকে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন সঞ্জয় দত্ত, সারা অর্জুন, অর্জুন রামপাল, প্রমুখ। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ মুক্তি পাবে ছবিটির দ্বিতীয় ভাগ, 'ধুরন্ধর ২'।
